পাকিস্তান ৩৬৫/৩ রান তোলে স্কোরবোর্ডে। প্রথম ব্যাটিং পেলে তাই ভারতীয় দল কমপক্ষে ৩২০ রান টার্গেট করে রেখেছে। কিন্তু যদি দ্বিতীয় ব্যাটিং করে রান তাড়া করতে হয়, সেক্ষেত্রে ওপেনারদের গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে। দুজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান এর মধ্যে একজনকে কমপক্ষে ২৫ ওভার পর্যন্ত থাকতে হবে সেক্ষেত্রে। দলের কোচ ঋষিকেশ কানিতকর এবং এনসিএ প্রধান হিসেবে ভিভিএস লক্ষণ ইয়াশ, রশিদ, রঘুবংশী, হারনুরদের বুঝিয়েছেন পরে রান তাড়া করতে হলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
advertisement
একটু সময় উইকেটে কাটাতে পারলে ব্যাটিং আরও সহজ হয়ে যাবে। তাই তাড়াহুড়ো নয়, মাথা ঠান্ডা রেখে এগোতে হবে। আর বারবার ভিডিও সেশন দেখে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান এবং বোলারদের দুর্বলতা খোঁজার চেষ্টা করেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ইংলিশ ব্যাটিং লাইন আপে অধিনায়ক টম প্রেস্ত ছাড়াও জ্যাকব বেথেল এবং জেমস রিউ বেশ ধারাবাহিক। এদের তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিতে পারলে চেপে ধরা যাবে ইংরেজদের।
স্পিন ছাড়াও ভেতরে ঢুকিয়ে আসা সুইং বল সামলানোর ক্ষেত্রে অসুবিধে আছে ইংলিশদের। সেক্ষেত্রে রবি কুমারকে বল হাতে দায়িত্ব নিতে হবে ঝটকা দেওয়ার জন্য। মোট কথা প্রথম ব্যাটিং পেলে ভারতের চিন্তা কম। কিন্তু যদি উল্টোটা হয়, তাহলে ইংল্যান্ডকে ২৬০-২৮০ রানের মধ্যে আটকে রাখার টার্গেট ভারতের। মহান অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট। খাতায়-কলমে এবং ড্রইং বোর্ডে যা ঠিক করা হয়, বাইশ গজে গিয়ে সেটা সব সময় কাজে লাগে না।
চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে পরিশ্রমের পাশাপাশি লাক ফ্যাক্টর প্রয়োজন। ভাগ্য বরাবর সাহসীদের সঙ্গী হয়। তাই এই মন্ত্র মনে রেখেই চূড়ান্ত ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে ভারত। শেষ হাসি কে হাসে, তা জানার জন্য অপেক্ষা অবশ্য কয়েক ঘণ্টার। দেশের মানুষ বিশ্বসেরা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
১৩০ কোটি প্রহর গুনছে। কিন্তু ভিভিএস লক্ষ্মণ চেষ্টা করছেন ড্রেসিংরুমে বিন্দুমাত্র আঁচ লাগতে না দেওয়ার। কারণ মেগা ফাইনালের আগে আবেগ নিয়ন্ত্রণ আসল লক্ষ্য। বাচ্চা ছেলেদের ওপর অতিরিক্ত প্রত্যাশা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সতর্কতা মানতেই হচ্ছে।