৪৪.৫ ওভার
#অ্যান্টিগা: ভারতবর্ষের বুক থেকে অনেকদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশ রাজ। আজ অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপ ফাইনালে আবার ব্রিটিশ রাজ অর্ধেক শেষ করে দিলেন রাজ বাওয়া। যে কোন খেলায় পরিশ্রমের পাশাপাশি সফল হতে গেলে আর যে দু'টো জিনিস দরকার, একটা হল সাহস, অন্যটা ভাগ্য। আবার কথায় বলে ভাগ্য নাকি সাহসীদের সহায় হয়।
advertisement
শনিবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জর অন্যতম মনোরম জায়গা অ্যান্টিগায় অনূর্ধ্ব উনিশ ফাইনালে নামার আগে থেকেই ফেভারিট ছিল ভারত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্রিকেট পন্ডিত থেকে বুকি - সকলেই এগিয়ে রেখেছিলেন টিম ইন্ডিয়াকে। এদিন টস ভাগ্য সহায় ছিল না ভারতের। ইয়াশ ধুল টস হারের পর ইংল্যান্ড অধিনায়ক ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। এই উইকেটে দুদিন আগে ৩৬৫ তুলেছিল পাকিস্তান। তাই ভুল সিদ্ধান্ত নেননি ইংলিশ অধিনায়ক।
কিন্তু তিনি কি জানতেন আজ ইংল্যান্ডকে এভাবে পথে বসতে হবে? ব্রিটিশ সিংহ এভাবে বেড়ালে পরিণত হবে আশা করেননি অতি বড় ভারত সমর্থক। ম্যাচের শুরু থেকেই যেন তেল খাওয়া মেশিনের মত ইংলিশদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল ভারত। জ্যাকব বেথেলকে (২) এলবিডব্লিউ করলেন রবি কুমার। ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে ফিরে গেলেন অধিনায়ক টম প্রেস্ট। ঘাতকের নাম সেই রবি কুমার। রবির বলে বোল্ড হলেন তিনি খাতা না খুলেই।
এরপর যেন আসা-যাওয়ার পালা লেগে রইল। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ইংলিশ ব্যাটিং। চাপের মধ্যেও কাউন্টার অ্যাটাক করছিলেন জর্জ থমাস। বেশ কিছু দর্শনীয় শট খেলেন। কিন্তু রাজ বাওয়ার বলে মারতে গিয়ে ফিরে গেলেন সহজ ক্যাচ দিয়ে। এরপর উইলিয়াম লাক্সটন (৪), জর্জ বেল (০), রেহান আহমেদ (১০) ফিরে গেলেন কয়েকটা বলের ব্যবধানে।
ইংলিশ মিডল অর্ডারকে দুমড়ে-মুচড়ে দিলেন রাজ বাওয়া। তার মিডিয়াম পেস বল যেমন মুভ করল, তেমনই শর্ট বল করে চমকে দিলেন প্রতিপক্ষকে। এরপর আলেক্স (১০) ফিরে গেলেন তামবের বলে ইয়াশের হাতে ক্যাচ দিয়ে। কিন্তু প্রায় একা কুম্ভ রক্ষা করার মত লড়াই করলেন জেমস রিউই। অর্ধশতরান করলেন। একাই অক্সিজেন ফিরিয়ে দিলেন ইংল্যান্ড শিবিরে।
লজ্জার গল্প লেখা থেকে বাঁচালেন ব্রিটিশদের। ভাগ্য খারাপ রিউর। আউট হয়ে গেলেন ৯৫ করে। রবি কুমারের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ নিলেন কৌশল। এরপর রবি কুমার এবং রাজ একটি করে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের গল্প শেষ করে দিলেন। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন রাজ।