রোহিত শর্মার ছেলেরা সকলেই নার্ভ ধরে রাখার খেলায় নিজেদের হিরো প্রমাণ করল ৷ চোটগ্রস্ত কেদার ও স্পিনিং স্টার কুলদীপ বল হাতে নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন এবার ব্যাট হাতেও তাঁরাই বাংলাদেশের মুখের থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন ৷
রবীন্দ্র জাডেজা ও ভুবনেশ্বর কুমারের মাথা ঠান্ডা রেখে খেলা ব্যাটিংয়ে ভর দিয়ে বাংলাদেশ বধের প্ল্যানিং সারছিল ভারত ৷ টপ ও মিডল অর্ডারের হেভিওয়েটরা যখন বাড়ি ফিরে গেছেন তখন এই দুই ক্রিকেটার ব্যাট হাতে লড়লেন ৷ দীর্ঘদিন একদিনের ক্রিকেটে ব্রাত্য থাকা জাডেজা প্রমাণ করলেন তিনি এখনও সুযোগ কাজে লাগাতে ওস্তাদ ৷ আর ভুবি বলের পাশাপাশি ব্যাটটাও দায়িত্ব নিয়ে করতে পারেন সেটা দেখালেন ৷
advertisement
২১২ রানের মাথায় থার্ড আম্পায়রের সিদ্ধান্তের জন্য জাডেজার আউট পাঠানো হয় ৷ বাংলাদেশের রিভিউ ফল দেয় ফিরতে হয় জাডেজাকে ৷ ফের মাঠে নামেন চোটগ্রস্ত কেদার যাদব ৷
৪৮ তম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান ভুবনেশ্বর কুমার ৷ ২৩ রানে জাডেজার আউটের পর ২১ রানে আউট হয়ে যান ভারতীয় পেসার ৷
বাংলাদেশের রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি ভারতীয় দল ৷ ধাওয়ান মাত্র ১৫ রান করে আউট হলেও অধিনায়ক রোহিত শর্মা ভালোই খেলছিলেন ৷ যদিও অর্ধশতরানের আগেই থামে তাঁর ইনিংস ৷ ৩ টি চার ও ৩ টি ছয় মারলেও ৪৮ রানেই শেষ হয় তার ব্যাটিং ৷ এর ঠিক পরেই অম্বাতি রায়ডু ২ রান করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন ৷
দীনেশ কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি ধাক্কাটা সামলানোর চেষ্টা করেন ৷ কুল ক্যাপ্টেনের কথা মেনে বেশ ভালোই খেলছিলেন কেকেআর অধিনায়ক ৷ বেশ কিছু স্বচ্ছন্দ স্ট্রোকও নেন ৷ কিন্তু মাহমদুল্লার বলে একেবার স্পষ্ট এলবিডাব্লু-র শিকার হন তিনি ৷
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া কেদার যাদবকে সঙ্গী নিয়ে মাহির অবস্থা বেশ খারাপ হয়েছিল ৷ দ্রুত রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে ধোনি দারুণ স্বচ্ছন্দ্য ৷ কিন্তু কেদার একেবারেই দৌড়তে পারছিলেন না ৷ ৩৬ রানে মুস্তাফিজুরের শিকার তিনি ৷ এরপর কেদার যাদব রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন ৷
এদিকে এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত ৷ ভারতের সামনে ২২৩ রানের টার্গেট রাখে বাংলাদেশ ৷ ২০১৬ সালের এশিয়া কাপেও মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ ৷ এবারও ঠিক তাই হয়েছিল ৷ লিটন দাসের দুর্দান্ত ১২১ রানের ইনিংস ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে সেভাবে কিছুই গেল না ৷ প্রথম উইকেট জুটিতে ১২০ রান ওঠার পরেও পুরো ওভার খেলতে পারল না বাংলাদেশ ৷ লিটন দাস ১১৭ বলে ১২১ করেন ৷ এদিন লিটনের ইনিংস সাজানো ছিল ১২ টি চার ও ২টি ছয় মারেন ৷ লিটন ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে রান করেছেন মাত্র দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার ৷ মেহেদি হাসান ৫৯ বলে ৩২ রান করেন এবং সৌম্য সরকার ৪৫ বলে ৩৩ করেন ৷
৪৮.৩ ওভারে ২২২ করে তারা ৷ ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব ৩ টি কেদার যাদব ২ টি উইকেট নেন ৷