ইনদওরে স্পিন সহায়ক উইকেট পুরোপুরি ভারতের পক্ষ্যে বুমেরাং হল তা বলাই যায়। কারণ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও চেতেশ্বর পুজারা লড়াকু অর্ধশতরান না করলে একই হাল হত টিম ইন্ডিয়ার। পুজারার ৫৯ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ১৬৩ রান করে ভারত। উল্টে প্রথম দুই ম্যাচ থেকে ইনদওরের এমন ঘূর্ণি উইকেটে অনেকটাই সফল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ভারতের ১০৯ রান টপকে ১৯৭ রান করে অজিরা। ৮৮ রানের লিড নেয় স্টিভ স্মিথের দল। সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন উসমান খোয়াজা।
advertisement
আর দ্বিতীয় ইনিংসে অনায়াসেই ভারতের দেওয়া টার্গেট পূরণ করে ফেলে অস্ট্রলিয়া। ৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি অজিদের। শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরত যান খোয়াজা। কিন্তু তারপর ইনিংসের রাশ ধরে ফেলেন ট্রেভিস হেড ও মার্নাস লাবুশানে। একদিক থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন হেড ও অপরদিক থেকে ঠান্ডা মাথায় তাকে সঙ্গ দেন লাবুশানে। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন তারা। তৃতীয় দিনের সকালে মাত্র ১৮.৫ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় অজিরা। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন হেড ও ২৮ রানে লাবুশানে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই ম্যাচে দুরন্ত্ পারফর্ম করেন ন্যাথান লায়ন। এক ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট নেয় অজি অফ স্পিনার। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩টি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসের লায়নের শিকার ৮ জন ভারতীয় ব্যাটার। তাকেই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত করা হয়। এই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া জয়ের ফলে জমে উঠল বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। একইসঙ্গে শেষ ম্যাচের উপর নির্ভর করবে ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌছতে পারবে কিনা।