গোলের খাতা খুললেন আকাশদীপ সিং। ৪ মিনিট পর পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল অধিনায়ক হরমনের। ৩ মিনিট পর আবার গোল মনপ্রিত সিংয়ের। এখানেই বোঝা গিয়েছিল ম্যাচের ভাগ্য কি হতে চলেছে। চতুর্থ কোয়ার্টারে মনপ্রিতের পাস থেকে অনবদ্য গোল করে গেলেন সুমিত। আজ ছিল ভারতের গোলরক্ষক শ্রীজেশের ৩০০ তম ম্যাচ। এরপর জাপানের কফিনে শেষ ফের একটি পুঁতে দিলেন কার্তি সেলভাম।
advertisement
ভারত ফাইভ স্টার পারফরম্যান্স করে পৌঁছে গেল এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে।হকিতে আজকের আগে পর্যন্ত মোট ২৭ বার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং জাপান। ২০ বার জিতেছিল ভারত। তিনবার জাপান, চারটে ড্র। কিন্তু পরিসংখ্যান দিয়ে সব বিচার হয় না। অপরাজিত থেকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকির সেমি-ফাইনালে উঠেছিল ভারত।
রাউন্ড রবিন লিগ পর্বে জয় এসেছিল চারটি ম্যাচে। ড্র হয়েছে একটি। শুক্রবার সেমি-ফাইনালে হরমনপ্রীতদের প্রতিপক্ষ ছিল জাপান। একমাত্র যাদেরকে হারানো যায়নি প্রাথমিক পর্যায়ে। বুধবার পাকিস্তানকে ৪-০ চূর্ণ করে ফুলটনের ছেলেরা যতই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকুক, জাপানের বিরুদ্ধে নামার আগে তাই সতর্ক থাকতে হত টিম ইন্ডিয়াকে।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য ঢের এগিয়ে ছিল ভারত। জাপানের অবস্থান ১৯ নম্বরে। সেখানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ। তবে ২০২১ সালে এই আসরের সেমি-ফাইনালে জাপানের কাছে ৩-৫ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। অথচ, সেবারও লিগের ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে জয় এসেছিল ৬-০ ব্যবধানে।
সেই শিক্ষা মাথায় ছিল ভারতের। বিশেষত, এবার লিগেও হারানো যায়নি জাপানকে। ১-১ ড্র হয়েছিল সেই ম্যাচ। এবারের প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি, ২০ গোল করেছে ভারত। যদিও জাপানের বিরুদ্ধে সেই ধারা বজায় থাকেনি। ম্যাচে অজস্র গোলের সুযোগ নষ্ট করেছিল টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও কাজে লাগানো যায়নি বেশ কিছু সহজ সুযোগ।
তবে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় উন্নতি হয়েছে মনপ্রীতদের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে বুধবার পাঁচটি পেনাল্টি কর্নারের মধ্যে তিনটিতে এসেছিল গোল। অথচ, জাপানের বিরুদ্ধে লিগের ম্যাচে ১৫টির মধ্যে মাত্র একটিতে গোল মিলেছিল।