শরীরী ভাষায় বিরাটের মত আক্রমনাত্মক নন। কিন্তু যেটুকু অধিনায়কত্ব করেছেন, তার ট্র্যাক রেকর্ড অসম্ভব ভাল। আইপিএলের কথা নয় ছেড়ে দেওয়া গেল। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে এশিয়া কাপ এবং নিদাহাস ট্রফি জিতেছিলেন অতীতে। কোন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিতে হয়েছে, খুব ভাল করে জানেন। কিন্তু বিরাট কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে কান দিতে রাজি নন রোহিত শর্মা।
advertisement
তবু একটা ভয় হয়ত কাজ করছে। তাই গোটা দলকে সম্প্রীতি ধরে রাখার কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন রোহিত। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক বলেন, তিনি চান তাঁর দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে যেন একটা মজবুত বন্ধন থাকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েব সাইটে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেন, ক্রিকেটাররা সবাই জানে, যখন বড় কোনও প্রতিযোগিতা হয়, তখন মাঠের বাইরে নানা কথা হয়।
তাই আমাদের হাতে যেটুকু আছে, সেটাতেই মন দেওয়া উচিত। নিজেদের সেরাটা দেওয়া উচিত। মাঠে নেমে জেতা উচিত। বাইরে কী কথা হচ্ছে, সেগুলো আমাদের কাছে অর্থহীন। দলকে এই বার্তাই দিতে চাই। দলে পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক রাখা কতটা জরুরি, সে কথা সতীর্থদের মনে করিয়ে দিয়ে রোহিত বলেন, আমরা নিজেরা দলের বাকিদের সম্পর্কে কী ভাবছি, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নিজেদের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন থাকা প্রয়োজন। সেটাই আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। আলাদা করে তাঁর উপর কোনও চাপ থাকবে কি না জানতে চাওয়া হলে রোহিত বলেন, ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলা মানেই বিরাট চাপ থাকবে। ইতিবাচক, নেতিবাচক নানা কথা সারাক্ষণ চলতে থাকবে। আমি মনে করি, মন দিয়ে নিজের কাজ করাটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
লোকে কী বলছে, সেদিকে মন দেওয়ার কোনও মানে হয় না। কারণ, সেটা আমার হাতে নেই। এটা আমি লক্ষ বার বলেছি। আবার বলব। অধিনায়ক মানে দলেরই অংশ। একজন অধিনায়ক ততটাই ভাল, যতটা তার দল। ক্রিকেটের এই পুরোনো লাইন সম্পর্কে রোহিত যথেষ্ট অবগত। দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলছেন। শেষ কয়েক বছরে সাদা বলের ক্রিকেট বিরাট কোহলির থেকেও তার দাপট বেশি।
কিন্তু রোহিত জানেন পা মাটিতে রাখতে হয়। তবেই শিখরে পৌঁছা সম্ভব। তার ছেলেবেলার কোচ দীনেশ লাড আগেই জানিয়েছিলেন রোহিত যথেষ্ট বুদ্ধিমান। অধিনায়ক হিসেবে কাজ করার সময় বিরাটের সঙ্গে তার কোনরকম ইগোর লড়াই হবে না। দেশের স্বার্থ ছাড়া আর কোন কিছুই বিচার্য নয় হিটম্যানের কাছে।