সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দুটো জিনিসের উপরে আমাদের আরও জোর দিতে হবে। প্রথমত, তৃণমূল স্তরের উন্নতি। দ্বিতীয়ত, রাজ্য সংস্থাগুলোকে আরও বেশি টাকা দেওয়া। তৃণমূল স্তরের উন্নতির কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু আমি চাই সে ব্যাপারে আরও মনোযোগ দেওয়া হোক।
advertisement
বাইচুং জানিয়েছেন, ফুটবলারদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি। বলেছেন, ফুটবলার-কেন্দ্রিক একটা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। ফুটবলারদের আরও পরিষেবা দিতে চাই। খেলোয়াড়দের যাতায়াত এবং থাকার ব্যবস্থা আরও উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে। কীভাবে সেটা সম্ভব সেটাও বলেছেন পাহাড়ি বিছে।
তাঁর কথায়, ধরুন অরুণাচল প্রদেশের ফুটবলাররা কেরলে কোনও জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাবে। সেক্ষেত্রে ট্রেনে করে তিন দিন ওদের যেতে হবে। ওরা যাতে বিমানে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। বাইচুংয়ের মতে, যদি দেশের ফুটবলের পরিকাঠামোর উন্নতি হয়, তা হলে দ্রুত বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে ভারত।
তিনি বলেছেন, বয়সভিত্তিক দল হোক বা সিনিয়র দল, আগামী দিনে দুটো দলই নিজেদের যোগ্যতায় বিশ্বকাপে যেতে পারে। তার জন্য আমূল সংস্কার এবং ফুটবলের পরিকাঠামোয় বদল প্রয়োজন। রাজ্য দলগুলি থেকেই প্রতিভাবান ফুটবলাররা উঠে আসে। তাই ওদের হাতে বেশি টাকা দিতে হবে।
বাইচুং মনে করেন নিজে যেহেতু লড়াই করে উঠে এসেছেন তাই ভারতীয় ফুটবলারদের অসুবিধের ব্যাপারগুলো তিনি ভালই জানেন। অন্যদিকে কল্যান চৌবে নিশ্চিত তিনি প্রেসিডেন্ট হলেন সব সিদ্ধান্ত ভারতীয় ফুটবলের পক্ষেই যাবে। কারণ তিনিও দীর্ঘদিন জাতীয় দল এবং দুই প্রধানে খেলছেন। ভারতীয় ফুটবলের চিত্রটা তারও অজানা নয়।