১৫ মিনিটের মাথায় ভারতীয় ডিফেন্সের একটা ভুলের সুযোগ নিয়ে কুয়েতকে এগিয়ে দিলেন আল খালদি। আকাশ মিশ্র এবং আনোয়ার একসঙ্গে কেটে গেলেন। গুরপ্রীত নিচু হওয়ার আগেই বল জালে। হঠাৎ পিছিয়ে পড়েও অবশ্য নিজেদের ফোকাস হারিয়ে ফেলেনি ভারত। স্টেডিয়াম ভর্তি মানুষের গর্জনে খেলার গতি কিছুটা শ্লথ করে দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন সুনীলরা।
advertisement
নিজেদের দখলের বল বেশি রাখা টার্গেট ছিল ভারতের। এল সাফল্য। ৩৬ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে আনল ভারত। ডান দিক থেকে পূজারীর ক্রস বাঁদিক আশিক ধরে বাড়ালেন সুনীলকে। তার থ্রু ধরে সাহাল ফ্লিক করে দিলেন দ্বিতীয় পোস্টে। বল ফলো করে আসা চাংতে গোল করতে ভুল করেননি। তবে ভারতের ডিফেন্ডার আনোয়ার পায়ে চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ভারতীয় নামাতে হয় মেহতাবকে।
মাঝে মাঝে দু দলের ফুটবলাররা মাথা গরম করে ঠেলাঠেলি করছিলেন। ম্যাচের দ্বিতীয় আর্ধ এবং ৯০ মিনিটে শেষে আর কোনও গোল হয়নি। যদিও ভারত সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু বক্সের ভেতর নিখুঁত থাকতে পারেনি তারা। ৭০ মিনিটের মাথায় মহেশ এবং রোহিত কুমারকে নিয়ে আসা হয়। ৮০ মিনিটের মাথায় সাহালের জায়গায় নামেন উদান্ত। দেখার ছিল একশো কুড়ি মিনিটের মধ্যে আর গোল হয় কিনা।
কিন্তু সেটা হল না। ম্যাচ গেল টাইব্রেকারে। তিন দিন আগে এরকমই একটি টাইব্রেকারে লেবাননের বিরুদ্ধে ভারতকে জিতিয়ে বাজিমাত করেছিলেন
গুরপ্রীত। আজ টাইব্রেকারে ভারতের হয়ে মিস করেন উদান্ত। তবুও সেই গুরপ্রীত হাজীয়ার শট বাঁচিয়ে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করে দেন। এই নিয়ে ভারত নবার চ্যাম্পিয়ন হল।