আম্পায়াররা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দেখে নিয়ে ভারতকে জয়ী ঘোষণা করলেন ২ রানে। অনেকে মনে করবেন হয়তো খেলাটা পুরো হলে ভারত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারত। সেটা হয়তো খানিকটা ঠিক। আবার এটাও ঠিক ভারতের এই তৃতীয় শ্রেণীর দল যা ব্যাটিং শক্তি তাতে আয়ারল্যান্ডকে তারা হারিয়েই দিত। প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলের নীল জার্সিতে আজ ছিল তার কাম ব্যাক মঞ্চ।
advertisement
জসপ্রীত বুমরাহ কতটা কি করতে পারেন তাই নিয়েছিল সন্দেহ। অনুশীলনে বল করা আর ম্যাচে বল করা আলাদা। সে প্রতিপক্ষ যতই দুর্বল আয়ারল্যান্ড হোক। কিন্তু চ্যাম্পিয়নরা একটু অন্যরকম হন। আবার প্রমাণ করলেন জসপ্রীত বুমরাহ। অ্যান্ডি ব্যালবর্নি এবং টাকারকে যেভাবে বোল্ড এবং ক্যাচ আউট করলেন তাতে প্রমাণিত তার রিকভারি সঠিক হয়েছে।
যদিও এবছর একদিনের বিশ্বকাপে তার আসল কামব্যাক হবে, তার আগে রয়েছে এশিয়া কাপ। তবুও এই আয়ারল্যান্ড সিরিজ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং চার ওভার করে বল করাও কাজের কাজ হবে। হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে। একজন ফাস্ট বোলার এর কাছে আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যত বল করা যাবে তত ছন্দ ফিরে পাওয়া যাবে।
তবে এদিন শুধু বুমরাহ নন, যথেষ্ট ভালো বল করলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। প্রথম দু ওভার বল করেই দুটো উইকেট তুলে নিলেন। বেশ ভালো গতিতে বল করলেন। আসলে ভারত এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের আগে যত বেশি সম্ভব ক্রিকেটারদের দেখে নিতে চাইছে। তার জন্য দরকার ম্যাচ প্র্যাকটিস। আর এই আয়ারল্যান্ড সিরিজ সেই ম্যাচ প্র্যাকটিসের অঙ্গ।
পাশাপাশি বলতে হয় আজ ভারতের জার্সিতে প্রথম অভিষেক ঘটে গেল রিঙ্কু সিংয়ের। ১০ ওভার পরে আয়ারল্যান্ডের রান ছিল ৫৭/৫। সুতরাং তাদের ব্যাটিং নিয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন ছিল না। কার্টিস ক্যাম্পার এবং ম্যাকার্থি কিছুটা লড়াই করলেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে।