রাহুল যদি ওপেন করেন তা হলে ঝাড়খন্ডের কিষাণকে অগ্রজর জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। তবে, রাহুল যদি মিডল অর্ডারে খেলেন তা হলে প্রথম ম্যাচে দেশের জার্সিতে অভিষেক করা দীপক হুডা যিনি ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তাঁকে দলের বাইরে বসতে হবে। তবে তেমন সম্ভাবনা হয়তো কম। হুডাকে আরও একটু সুযোগ দেওয়ার পক্ষে টিম ম্যানেজমেন্ট।
advertisement
আরও পড়ুন - Siraj on IPL : বোলিং ছেড়ে বাবার সঙ্গে অটো চালাও, মানুষের অপমান আজও ভোলেননি সিরাজ!
ঈশানকেই সেক্ষেত্রে বাইরে বসে হতে পারে। আবার রোহিতের প্রিয় পাত্র হওয়ার কারণে নাও বাদ যেতে পারেন ঈশান। কারণ সেট মিডল অর্ডারে বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ এবং সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে পরীক্ষানীরিক্ষার পথে হাঁটবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। বিরাট কোহলির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই ম্যাচ। দু বছরের বেশি শতরানের দেখা না পাওয়া বিরাট দীর্ঘদিন খারাপ ছন্দের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, প্রথম ম্যাচে কম রান তাড়া করতে নেমে ব্যক্তিগত ৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন তিনি।
তাঁর পারফরম্যান্সের উপর সজাগ নজর থাকবে নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের। বিশ্বকাপের জন্য আর বেশি দিন বাকি নেই। এর মধ্যে খুব বেশি ওডিআই সিরিজও খেলবে না ভারত, তাই ২০২৩ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে দল গঠনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে নজর রাখছেন নির্বাচকরা। বোলিং ইউনিটে পরিবর্তনের কোনও জায়গা নেই। বিশেষ করে যুজবেন্দ্র চহাল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর যে ভাবে বোলিং করেছেন তাতে এই দুই বোলার এই ম্যাচেও থাকবেন তা নিশ্চিত। মোট ৭ উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন এই দুই বোলার।
কুলদীপ যাদবকে সুযোগ দেওয়া হয় কিনা সেটাই দেখার। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সব বিভাগেই উন্নতির প্রয়োজন, তবে বিশেষ নজর প্রয়োজন ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সের উপর। একের পর এক তারকাকে নিয়ে তৈরি ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ কিন্তু প্রথম ম্যাচে জেসন হোল্ডার বাদে এক জনকেও খুঁজে পাওয়া যানি।
রবিবারের হার নিয়ে শেষ ১৬ ম্যাচে দশ বার এমন হল যেখানে পুরো পঞ্চাশ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। এই দলের অধিনায়ক কিরণ পোলার্ড, দলে রয়েছে নিকোলাস পুরানের মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান যাঁরা যে কোনও স্টেডিয়ামের বাইরে বল ফেলার ক্ষমতা রাখেন। আকিল হোসেন এবং কেমার রোচ ক্যারিবিয়ান বোলিং লাইন আপের ভরসা।