সুপার ওভারে ব্যাট করতে নেমেই অর্শদীপ সিংয়ের প্রথম বলেই উইকেট খোয়ায় শ্রীলঙ্কা৷ মূল ম্যাচে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে এক উইকেট নেওয়া তরুণ পেসারের ওপরেই ভরসা রেখেছিলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব৷ সুপার ওভারের চতুর্থ বলে রান আউটের সিদ্ধান্ত ঘিরেও জমে ওঠে নাটক যদিও উইকেট যায়নি শ্রীলঙ্কার৷ পঞ্চম বলে ফের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা৷ অর্শদীপের বলে ফের আউট৷ ফলে রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ২ রান৷ ভারতকে জয়ের জন্য করতে হবে ৩ রান এই অবস্থায় ব্যাট করতে নামে ভারত৷
advertisement
শুক্রবার দুবাইতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারত জিতল মাত্র এদিন সুপার ফোরের নিয়মরক্ষার খেলায় ভারতের একটানা অপরাজিত থেকে ফাইনালে যাওয়ার ভারতের স্বপ্নে বড়সড় কাঁটা পুতে দিচ্ছিল ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র৷ এদিন টসে জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা৷ ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে ভারত৷ এটিই ছিল এ মরশুমের এশিয়া কাপে প্রথম দ্বি শতরান বা তার অধিক টোটাল৷ মোক্ষম লঙ্কার ঝাঁঝ দেখান পাথুম নিশঙ্কা এবং কুশল পেরেরা জুটি৷
৭ রানের মধ্যে প্রথম উইকেট খোয়ালেও নিশঙ্কা এবং পেরেরা তাঁদের জুটিতে দলের রান নিয়ে চলে যান ২ উইকেটে ১৩৪ রানে৷ কিন্তু নিশঙ্কা ৩২ বলে ৫৮ রান করেন৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৮ টি চার ও ১ টি ছক্কা দিয়ে৷ এদিকে তিনি বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার এক এন্ডের উইকেটে ঝকঝকে শতরানের ইনিংস দর্শকদের উপহার দেন কুশল পেরেরা- কিন্তু তাঁর ওপর এন্ডে ছিল শুধুই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের আয়ারাম-গয়ারাম নীতি৷ ১০৭ রান করে আউট হন কুশল পেরেরা৷
পেরেরার ইনিংস সাজানো ছিল ৭ টি চার ও ৬ টি ছক্কা দিয়ে৷
শুক্রবার এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচেও নিজের আগুনে ফর্ম ধরে রাখলেন অভিষেক শর্মা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচেও তাঁর ব্যাটে চার-ছক্কার ফুলঝুরি পোড়ালেন তিনি। এবারের এশিয়া কাপে নতুন নজিরও গড়লেন ভারতের বাঁহাতি ওপেনার। অভিষেক এখন একটি টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ নিতান্তই নিয়মরক্ষার। ভারত আগেই ফাইনালে চলে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার ফাইনালে ওঠার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। এদিন প্রথমে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে ফের একবার ক্রিকেট ফ্যানরা মুগ্ধ হল অভিষেক শর্মার ব্যাটিং দাপটে। ৪ রান করে শুভমান গিল আউট হয়ে যান। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ১২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
অভিষেকের ধামাকা ইনিংসে ছিল ৮টি চার ছক্কার ২টি৷ স্ট্রাইক রেট ১৯৬.৭৭। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৬১ রান করে আউট হন। এদিন এশিয়া কাপে নিজের রান ৩০০ পেরিয়ে গেল। ৩০৯ রান পকেটে নিয়ে এই এশিয়া কাপে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শুধু এই এশিয়া কাপে নয়, সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ফ যত এশিয়া কাপ হয়েছে, তার একটি সংস্করণে সবচেয়ে বেশি রান অভিষেকেরই। ব্যাটনটা এগিয়ে নিয়ে ফর্ম্যাটে সঞ্জু স্যামসন ও তিলক বর্মা।
বাংলাদেশ ম্যাচে তিলক খেলেন ৭ বল। সঞ্জু ব্যাট করার সুযোগই পাননি। আর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সঞ্জু ৩৯ রান করেন। তিলক অপরাজিত থাকেন ৪৯ রানে। শেষে অক্ষর প্যাটেলও ২১ রান করেন। অসাধারণ ক্যাচ ধরে হার্দিককে ফেরান দুষ্মন্ত চামিরা। এই ম্যাচে দারুণ ফিল্ডিং শ্রীলঙ্কার৷ শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত ২০২ রান করে। এটিই ছিল এবারের এশিয়া কাপে কোনও দলের ২০০ রান৷