পোস্ট-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে গম্ভীরকে প্রশ্ন করা হয়, ঘরের মাঠে স্পিনারদের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটসম্যানদের এ ধরনের ব্যর্থতার পর কোচিং স্টাফ কী ধরনের সমাধান ভাবছে। জবাবে তিনি বলেন,”আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানসিক চাপের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি এবং চাপকে ভয় না পেয়ে তা সঙ্গে নিয়ে ভালো ফল করাই খেলোয়াড়দের উন্নতির পথ।” তাঁর মতে, দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও চাপের মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় দল সমস্যায় পড়েছে।
advertisement
গম্ভীর বিশেষভাবে উল্লেখ করেন চতুর্থ ইনিংসের চ্যালেঞ্জের কথা, যেখানে ভারতীয় দল সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি মনে করেন, ঘরের মাঠে স্পিন-বান্ধব উইকেটে খেলতে খেলতেই ভারতীয়দের দক্ষতা তৈরি হয়েছে, কিন্তু ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানসিক দৃঢ়তা ও চাপ সামলানোর ক্ষমতা বাড়াতে না পারলে এসব দক্ষতা যথেষ্ট নয়। ব্যাটসম্যানরা ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করলেও চাপের মুহূর্তে স্থির থাকা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
গৌতম গম্ভীর বলেন, “আমরা যখন এ ধরনের উইকেট প্রস্তুত করি বা ভারতীয় কন্ডিশনে খেলি, বিশেষ করে যখন চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করি, তখন সেটি এমন একটি দিক যেখানে আমাদের আরও উন্নতি করা দরকার। অবশ্যই, তাঁদের দক্ষতা আছে, সে কারণেই তাঁরা এখানে আছে। তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সুযোগ পেলে ভালো খেলেছে। তাই তাঁরা দেশের হয়ে খেলছে।”
আরও পড়ুন: IND vs SA: ‘যেমন পিচ চেয়েছিলাম তেমনই পেয়েছি…’! ম্যাচ হেরেও ঝুঁকতে নারাজ গৌতম গম্ভীর!
কোচের মতে, এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে এবং দলগতভাবে আরও কাজ করতে হবে। তিনি জানান, টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাটসম্যানদের সমর্থন দিচ্ছে এবং তাঁদের ওপর আস্থা রাখছে। গম্ভীর বিশ্বাস করেন, চাপ মোকাবিলার মানসিকতা গড়ে তুলতে পারলেই ভারত আবারও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ফিরতে পারবে। দলের পরবর্তী ম্যাচে এর প্রতিফলন দেখা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
