লাঞ্চ পর্যন্ত
#কেপটাউন: দক্ষিণ আফ্রিকা সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে জেতার পর ভারতীয় শিবিরে একটু আঘাত লেগেছিল তাতে সন্দেহ নেই। সর্বশক্তি দিয়ে ভারত শেষ টেস্ট ম্যাচ জয়ের চেষ্টা করবে জানা ছিল। কিন্তু কেপটাউনে প্রথমদিন অধিনায়ক ছাড়া ভারতীয় ব্যাটিং নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। আর টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে প্রথম ইনিংসে বড় রান করা প্রাথমিক শর্ত। তৃতীয় ও শেষ টেস্টে টিম ইন্ডিয়াকে (Team India) এবার ম্যাচে ফেরানোর দায়িত্ব বোলারদের উপর।
advertisement
আরও পড়ুন - Sachin Tendulkar in Indian Cricket: জোর চেষ্টায় জয় শাহ, ফের ভারতীয় ক্রিকেটে সচিন
টেস্টের প্রথম দিনে (India vs South Africa) ২২৩ রান করে ভারতীয় দল অলআউট হয়ে যায়। ৭৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৪ উইকেট নিয়ে ভারতকে বড় স্কোর গড়তে দেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকাও ইনিংসের শুরুটা ভাল করতে পারেনি। ফাস্ট বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ আউট করেন ক্যাপ্টেন ডিন এলগারকে (৩)। দ্বিতীয় টেস্টে তিনি অপরাজিত ৯৬ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন।
কেপটাউনের পরিস্থিতিতে ভারত ও বিরাট কোহলির জন্য তাঁর উইকেট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এইডেন মার্করাম ৮ ও নাইটওয়াচম্যান কেশব মহারাজ ৬ রান করে ক্রিজে ছিলেন। বুধবার দিনের প্রথম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধাক্কা দিলেন বুমরাহ। মার্করামকে একটা দুরন্ত বলে বোল্ড করলেন। এরপর তিন নম্বরে নাইটওয়াচম্যান মহারাজকে ( ২৫) বোল্ড করলেন উমেশ যাদব। গতি এবং সুইং বুঝতেই পারেননি মহারাজ।
দুটো উইকেট হারালেও পিটারসেন এবং ভ্যান ডের ডুসেন ধৈর্য ধরে খেলছেন। এদিন প্রথম এক ঘন্টায় ভারতের ভাগ্য ভাল থাকলে শামি একাই দুটো উইকেট পেতে পারতেন। স্লিপে দুবার অল্পের জন্য তার বলে বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। নতুন বলে সুইং এবং মুভমেন্ট আদায় করছিল ভারতীয় বোলাররা।
তবে পিটারসেন শুধু ডিফেন্স নয়, কিছু আক্রমনাত্মক শট খেললেন। বল একটু পুরনো হওয়ার পর অর্থাৎ মধ্যাহ্নভোজের কিছু আগে অশ্বিনকে আক্রমণে আনলেন বিরাট কোহলি। এদিন কেপটাউনের মাঠে রোদ্দুর উঠেছিল। ফলে পিচ একটু শুকিয়ে গেলে আদ্রতা কমে গেলে, স্পিনার বড় ভূমিকা পালন করতে পারে, জানা ছিল।
শার্দুল ঠাকুর পর্যন্ত সুইং আদায় করলেন। কিন্তু পিটারসেন সেরা ছন্দে ব্যাট করছিলেন। যোগ্য সহায়তা করেছিলেন ডুসেন। তবে ভারত নিজেদের কিছুটা দুর্ভাগ্যের শিকার মনে করতেই পারে। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তিন নয়, মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার আগে পাঁচ উইকেট পেত তারা।