যে রুদ্র মূর্তিতে মার্কো জানসেন ব্যাট করছিল তখন মনে হয়েছিল শেষ ওভারে ম্যাচ বার করে দিতে পারেন তিনি। কিন্তু সব হিসেবে পাল্টে দেন অর্শদীপ। শেষ ওভারের প্রথম বলে লেগ বাইয়ে এক রান নিয়ে মার্কো জানসেনকে স্ট্রাইকে নিয়ে আসেন জেরাল্ড কোয়েতজি। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে নিজেক অর্ধশতরান পূরণ করেন জানসেন। মাত্র ১৬ বলে ৫০ করেন প্রোটিয়া তারকা। এরপর তৃতীয় বলে জানসেনকে এলবিডব্লিউ আউট করে ভারতকে বড় সাফল্য এনে দেন অর্শদীপ। চতুর্থ বলে চার মারেন সিমিলানে। পঞ্চম বলে সিমালিন এক রান নিয়ে জেরাল্ড কোয়েতজিকে স্ট্রাইক দেন। শেষ বলে মাত্র এক রান করেন কোয়েতজি।
advertisement
প্রসঙ্গত, ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভার ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান করে ভারত। ২২ বছর বয়সী তিলক ভার্মা অপরাজিত ১০৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেনষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার প্রথম শতরান। ৭টি ছক্কা ও ৮টি চার মারেন বিধ্বংসী ইনিংসে। তাঁর ইনিংসের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ ফরম্যাটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করে ভারত। অভিষেক বাজে ফর্ম থেকে ফিরে এসে ২৫ বলে পাঁচটি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে ৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। চাপের মধ্যে তিলক পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেন এবং মাঠের চারপাশে স্ট্রোক খেলেন। দ্বিতীয় উইকেটে অভিষেকের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। মাঝের ওভারে কেশব মহারাজ রানরেট নিয়ন্ত্রণ করলেও শেষ ২২ বলে ৫২ রান তুলে ভারতকে বড় স্কোরে পৌছে দেন তিলক। এছাড়া ভারতীয় ব্যাটিং লাইনে কেউ বড় স্কোর করতে পারেনি।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই প্রোটিয়া ব্যাটাররা চালিয়ে খেলার রণনীতি নেয়। তাই বড় স্কোর না করলেও রানরেট বজায় রাখার চেষ্টা। তবে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেটও হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনরিক ক্লাসেন ২২ বলে ৪১ রান করে আউট হওয়ার পর একটা সময় মনে হয়েছিল বেশি দূর যেতে পারবে না প্রোটিয়ারা। তবে হিসেব বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেন মার্কো জানসেন। ১৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেললেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। এই জয়ের ফলে সিরিজ হারার আর কোনও ভয় থাকল না ভারতের। শুকক্রবার সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামবে টিম ইন্ডিয়া।