ফারহান তার ফিফটি উদযাপন করার সময় ডাগআউটের দিকে ফিরে বন্দুক থেকে গুলি চালানোর মতো একটি ভঙ্গি করেন। এই অঙ্গভঙ্গি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এবং মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও এটি হয়তো খেলোয়াড়ের আবেগের বহিঃপ্রকাশ ছিল, তবে অনেকের চোখে এটি ছিল অনুচিত এবং অশোভন।
ঘটনার প্রেক্ষাপট ছিল অত্যন্ত সংবেদনশীল। কয়েক মাস আগেই ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক নিহত হন। সেই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সরাসরি যোগ ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর পাল্টা ভারতীয় সেনা অপারেশন সিঁদূর চালিয়ে পাকিস্কানে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। এই প্রেক্ষাপটে একজন পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের “গান-ফায়ারিং” উদযাপন অনেকের কাছেই বিবেচিত হয়েছে অসম্মানজনক এবং উসকানিমূলক হিসেবে।
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই উদযাপন ঘিরে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভারতীয় সমর্থকদের পাশাপাশি অনেক নিরপেক্ষ দর্শকও ফারহানের আচরণকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেন। কেউ কেউ একে মাঠের আবেগ বলে মেনে নিলেও অধিকাংশ মানুষই এটিকে রাজনৈতিক ও মানবিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত অশোভন হিসেবে দেখেছেন।
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK: জয়ের পর ভারত-পাকিস্তান ‘লড়াই’নিয়ে চরম কটাক্ষ সূর্যকুমার যাদবের! কী বললেন ভারত অধিনায়ক
এই বিতর্ক আবারও প্রমাণ করে দিল, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুধু একটি খেলা নয়, এটি দুই দেশের আবেগ, ইতিহাস ও রাজনীতির বহিঃপ্রকাশও বটে। ক্রিকেটারদের তাই মাঠে শুধু পারফরম্যান্সেই নয়, আচরণেও দায়িত্বশীল থাকা অত্যন্ত জরুরি।