প্রথম দুটি টি টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতার পর ভারত তৃতীয় টি টোয়েন্টি খোয়ায়৷ পুনের চতুর্থ টি টোয়েন্টিতেও টপ অর্ডার ফের একবার ভয় দেখাল৷ শুক্রবার টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জস বাটলারের ইংল্যান্ড৷ এদিন ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮১ রান করে ভারত৷ সৌজন্যে মিডল অর্ডার জুটি শিভম দুবে-হার্দিক পান্ডিয়া৷
এদিন প্রথমেই সঞ্জু স্যামসনের উইকেট তুলে নেন মাহমুদ। অভিষেক শর্মা লড়াই করে ’৯ রান করলেও তাঁর উল্টো এন্ডে শুরু হয় আয়ারাম-গয়ারামের খেলা। তিলক ভর্মা, সূর্যকুমার যাদব ০ করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন। দুটি উইকেটই তুলে নেন মাহমুদ।
advertisement
আরও পড়ুন – Bollywood Gossip: এইসব কাজ করে আসা মেয়ে আবার সন্ন্যাসিনী, লুকনো কারণ সামনে আসতেই যা করা হল মমতা কুলকার্নিকে
রিঙ্কু সিং ২৬ বলে ৩০ করে যখন আশা দেখাচ্ছিলেন তখনই তিনিও আউট হয়ে যান৷ রিঙ্কুর আউটের সময় স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছিল ৫উইকেটে ৭৯ রান৷ এরপর অবশ্য ব্যাটিং বিপর্যয়ের বিষয়টিকে লজ্জার দিকে যেতে দেননি শিভম দুবে ও হার্দিক পান্ডিয়া৷
৩০ বলে ৫৩ করে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া৷ তিনি ৪ টি চার ও ৪ টি ছক্কা মারেন৷ তাঁকে আউট করেন ওভারটন৷ এছাড়া শিভম দুবে ৩৪ বলে ৫৪ রান করেন৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ৭ টি চার ও ২ টি ছয় দিয়ে৷ তিনি রানআউট হন৷
এঁদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সাহায্যে ৯ উইকেটে ২০ ওভারে ১৮১ রান তোলে ভারত৷ ইংল্যান্ডের হয়ে মাহমুদ ৩ টি ও জেমি ওভারটন ২ টি উইকেট নেন৷
জয়ের জন্য ১৮২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট জুটি ভালই শুরু করে৷ ৬২ রানের পার্টনারশিপ হয় প্রথম উইকেটে৷ রবি বিষ্ণোই বেন ডাকেটের উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দেন৷
এরপর ঝটপট প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক জস বাটলার৷ তাঁর অবদান ২৷ বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হওয়ার আগে হ্যারি ব্রুক করেন ৫১ রান৷ ইংল্যান্ডের হয়ে তিনিই সর্বোচ্চ রান করেন৷ এরপর সকলেই আয়ারাম-গয়ারাম৷ জেমি ওভারটন খালি ২ অঙ্কের রানে পৌঁছন৷
ভারতের হয়ে বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা, রবি বিষ্ণোই দারুণ বোলিং করেন৷ এঁদের বোলিংয়ের সুবাদেই এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতল ভারত৷ এদিন ১৯.৪ ওভারে ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড৷ ফলে ১৫ রানে ম্যাচ ও ৩-১ সিরিজ জিতল ভারত৷