গাভাসকর রোহিত-কোহলির প্রতি আস্থা রেখে আশাবাদী মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে,পার্থের পিচ ছিল অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বাউন্সি পিচ, যেখানে খেলা সহজ ছিল না। বিশেষ করে এমন ক্রিকেটারদের জন্য যাঁরা দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে দূরে রয়েছেন। এমনকি শুভমান গিল ও শ্রেয়স আইয়ারের মতো নিয়মিত খেলোয়াড়দের জন্যও এটি ছিল কঠিন পরীক্ষা।
সুনীল গাভাসকর আরও বলেন, রোহিত ও কোহলি আগামী ম্যাচগুলিতে নিশ্চয়ই ভালো করবেন। তাঁর যুক্তি, যত বেশি তাঁরা খেলার মধ্যে থাকবেন, নেটে অনুশীলন করবেন ও থ্রোডাউন নেবেন, তত দ্রুত তাঁদের পুরোনো ছন্দ ফিরে আসবে। একবার ছন্দে ফিরলে ভারতীয় দলের রান ৩০০-এর উপরে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
advertisement
আডিলেড ওভালে দ্বিতীয় ওডিআই অনুষ্ঠিত হবে ২৩ অক্টোবর। এই মাঠে বিরাট কোহলির অতীত রেকর্ড দুর্দান্ত। ২০১৪ সালে এখানেই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তাঁর অভিষেক ম্যাচে তিনি করেছিলেন দুটি সেঞ্চুরি। এছাড়া ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও এখানেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি।
আরও পড়ুনঃ Shubman Gill: এমন লজ্জার রেকর্ড! ভারতীয় দ্বিতীয় অধিবায়ক হিসেবে সেই তালিকায় নাম লেখালেন গিল
রোহিত শর্মার জন্যও এই ম্যাচটি হতে পারে বিশেষ। তিনি এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া ওডিআই সিরিজে ২০ ম্যাচে করেছেন ৯৯৮ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ২ রান করলেই তিনি হবেন এই ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ায় ১০০০ রান করা প্রথম ভারতীয় ব্যাটার। সবমিলিয়ে, প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার পরও রোহিত-কোহলির উপর ভরসা রাখছে ভারতীয় দল ও ভক্তরা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে তাঁদের ব্যাটে বড় রান দেখার অপেক্ষায় সকলেই।