তবে ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ালেন প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার ও ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ। তার মতে, অস্ট্রেলিয়া হয়তো দুর্দান্ত, কিন্তু অজেয় নয়। ভারতের খেলোয়াড়দের তিনি মনে করিয়ে দেন, “এটা একটা ক্রিকেট ম্যাচ, জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন নয়।” বিশপের মতে, খেলোয়াড়দের শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে, কারণ চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে নামতে গেলে আতঙ্ক নয়, দরকার মনোযোগ ও বিশ্বাসের। তিনি আরও বলেন, “ভারত যদি ভাবে যে একবার তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, তাহলে কাল সেই ইতিহাস আবারও লেখা যেতে পারে।” এই বার্তাই বিশপের মতে ভারতের মানসিক প্রস্তুতির মূল চাবিকাঠি।
advertisement
ভারতের ওপেনার শেফালি ভার্মার ক্ষেত্রেও একই বার্তা প্রযোজ্য। ইনজুরির কারণে প্রতীকা রাওয়াল ছিটকে যাওয়ায় শেফালির কাঁধে বড় দায়িত্ব এসেছে। বিশপ পরামর্শ দেন, “এটা এক ম্যাচের সুযোগ, তাই ওর ভাবা উচিত—এই সুযোগটাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। চাপ নয়, বরং সুযোগের আনন্দটা নিতে হবে।” তরুণ ব্যাটার হিসেবে শেফালির দায়িত্ব শুধু রান তোলা নয়, বরং দলের সূচনা দৃঢ়ভাবে করে দেওয়া।
তবে ভারতের আসল দোটানা বোলিং কম্বিনেশন নিয়ে। টুর্নামেন্টের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার মতো গভীরতা আনতে ভারত খেলেছিল একাধিক অলরাউন্ডার নিয়ে, যেখানে মাত্র দুইজন টেলএন্ডার ছিল। সেই কৌশল ব্যর্থ হলেও, মজার বিষয় হলো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটিই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পারফরম্যান্স এনে দিয়েছিল। এখন প্রশ্ন—ভারত কি ঝুঁকি নিয়ে আবার সেই ভারসাম্যে ফিরবে, নাকি নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সফল হওয়া ছয়জন স্পেশালিস্ট বোলার নিয়েই নামবে? বিশপের মতে, “এত বড় ম্যাচে পার্ট-টাইম বোলার নয়, দরকার বাড়তি বোলিং বিকল্প। ব্যাটাররা দায়িত্ব নিক, কিন্তু বোলারদের গভীরতা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মতো ব্যাটিং লাইনআপকে থামানো সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুনঃ হল না শেষ রক্ষা! অস্ট্রেলিয়ায় গুরুতর চোট পেয়ে মৃত্যু, ক্রিকেট মহলে গভীর শোক
আগামীকাল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নামবে দুই দল। ইতিহাস, অভিজ্ঞতা ও গভীরতায় অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে। কিন্তু ক্রিকেটে প্রতিদিন নতুন গল্প লেখা হয়। যদি হরমনপ্রীতের দল সেই বিশ্বাস ধরে রাখতে পারে, তাহলে হয়তো ইতিহাস বদলানোর দিনও আসতে পারে।
