রেণুকা সিংয়ের অফ ফর্ম: ভারতীয় দলের বোলিং লাইনে এবার প্রধান শক্তি ছিল পেসার রেণুকা সিং। নতুন বলে সাফল্য এনে দেওয়ার কাজটা প্রধান তিনিই করছিলেন। আর অস্ট্রেলিয়ার বরাবরের রণনীতি প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনে প্রধান অস্ত্রকে অ্যাটাক করা। এদিন সেমি ফাইনালটা একেবারেই ভালো যায়নি রেণুকার। ৪ ওভারে ৪১ রান খরচ করে একটিও উইকেট নিতে পারেননি ভারতীয় পেসার।
advertisement
স্পিন বিভাগের ব্যর্থতা: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাফল্য পেতে হলে ভারতীয় স্পিনারদের উপর অনেকটাই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এদিন দীপ্তি শর্মা, রাধা যাদব, স্নেহ রানারা খুব একটা ছন্দে ছিলেন না। দীপ্তি ও রাধা একটি করে উইকেট পেলেও স্নেহ রানা কোনও উইকেট পাননি। কিন্তু সকলেই এদিন ওভার পিছু একটি বেশিই রান খরচ করেন।
খারাপ ফিল্ডিং: সেমি ফাইনালে ভারতের হারের অন্যতম কারণ হল অতিব জঘন্য ফিল্ডিং। যা নিয়ে তোপ দেগেছে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। মেগ ল্যানিংয়ের ক্যাচ রিচা ঘোষ যখন ফস্কান, তিনি তখন ১ রানে ব্যাট করছেন। আবার বেথ মুনির ক্যাচ রাধা যাদব ফস্কানোর সময় তাঁর রান ছিল ৩২। ল্যানিং শেষ পর্যন্ত করলেন ৪৯। মুনি ৫৪। ফলে সেই ক্যাচগুলি ধরতে পারলে অস্ট্রেলিয়া এত রান করতে পারত না। ম্যাচ শেষেও খারাপ ফিল্ডিংকে ম্যাচ হারের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন হরমনপ্রীত কউর।
আরও পড়ুনঃ IND vs AUS: মাটিতে ব্যাট আটকে রান আউট, সেখানেই শেষ ভারতের আশা, দুর্ভাগ্যের শিকার হরমনপ্রীত
ব্যাটিং লাইনের ব্যর্থতা: সেমি ফাইনালের মত বড় ভারতের হারের অন্যতম কারণ হল ব্যাটিম লাইনের ব্যর্থতা। ম্যাচে হরমনপ্রীত কউর ও জেমাইমা রড্রিগেজ ছাড়া অন্য কোনও ভারতীয় ব্যাটার রান পাননি। ১৭২ রান তাড়া করার ক্ষেত্রে যা মোটেই সুবিধাজনক নয়। স্মৃতি মন্ধনা ও রিচা ঘোষ ফর্মে থাকলেও এদিন রান করতে ব্যর্থ হন। এছাড়া শেফালি ভার্মা পুরো বিশ্বকাপেই খুব একটা আহামরি কিছু করতে পারেননি।
ভাগ্যের বিড়ম্বনা: এত কিছুর পরও ভারতীয় দল হরমনপ্রীত কউরের ব্যাটে ভর করে জেতার স্বপ্ন দেখছিল। একটা সময় ম্যাচ জয়ের মত জায়গাতেও চলে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু হরমনপ্রীত কউরের দুর্ভাগ্যবশত রানআউট সব কিছু শেষ করে দেয়। অনেকটা কর্ণের রথের চাকার মতই এদিন হরমনপ্রীত কউরের ব্যাট পিচে আটকে যায়। যার কারণে সোজা রানও ক্রিজে ঢুকতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ভারতকে ম্যাচ হেরে টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হল।