আরও পড়ুন - Sehwag on Hardik : পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যান হার্দিককেই চান সেহওয়াগ
তবে, গত দু’বছরে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। বুমরাহ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে। অন্যদিকে, ঘনঘন চোট ভুবির কেরিয়ারে বাধার সৃষ্টি করেছে। হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা কমিয়েছে তাঁর কার্যকারিতা। রিহ্যাবের পরে ফিরে এসে আগের ছন্দে পাওয়াও যায়নি তাঁকে। সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে বোলার হিসেবে দাপট দেখাতে ব্যর্থ তিনি।
advertisement
বিশ্বকাপের মূলপর্ব শুরুর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ভুবির চার ওভারে ওঠে ৫৪ রান। যা চিন্তায় ফেলে দেয় সমর্থকদের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্ততি ম্যাচে ভুবি অবশ্য ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু, তারপরও দুশ্চিন্তা থাকছেই ডানহাতি পেসারকে নিয়ে। নেহরা সেই উদ্বেগই তুলে ধরেছেন, ‘এই মুহূর্তে ভুবি সেরা ফর্মের ধারেকাছেও নেই। চোট সারিয়ে ফিরে আসে কতটা কঠিন, তা আমি জানি। তবে এখন আরও ছয় মাসের ট্রেনিং প্রয়োজন ওর। তবে যদি আগের ভুবিকে দেখতে পাওয়া যায়!’
যেহেতু হার্দিক পান্ডিয়া এখনও বোলিং করছেন না, সেই কারণে ভারতের এগারোয় ভুবির থাকা কঠিন বলেও মনে করছেন নেহরা। তাঁর যুক্তি, ‘পাঁচ বোলারেই ভারত খেলবে বলে মনে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক বোলারকে ফর্মের শিখরে থাকতে হবে। অধিকাংশ ম্যাচে পাঁচ বোলারকেই ২০ ওভারের কোটা শেষ করতে হবে। কিন্তু, ভারতের বোলিং আক্রমণকে তেমন ভরসা করতে পারছি না। দলে শার্দূল ঠাকুরের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
হার্দিক বল করতে পারলে পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলারের কেউ ছন্দে না থাকলেও সেই সমস্যা প্রকট হয়ে উঠত না। কিন্তু, হার্দিক এখনও বোলিং শুরু করেননি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে মহম্মদ শামি নজর কেড়েছিলেন। আইপিএল জুড়ে ধারাবাহিক থেকেছেন শার্দূলও। এই দুই পেসারকে বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে দেখতে চাইছেন নেহরা। আশিস নেহেরা মনে করেন ভুবনেশ্বর কুমার ফর্মে না থাকলেও তার অভিজ্ঞতা বড় সম্পদ। নেটে পরিশ্রম করে কয়েকটা ম্যাচ পরেই অবশ্য দলে ফিরে আসতে পারেন তিনি।
