অতীতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেরাদুনে টি টোয়েন্টি ম্যাচে ২৭৮ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। ওপেনার হাজরতুল্লাহ জাজাই দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন। নবি বলছেন তিনি এবং রশিদ খান আইপিএল খেলার জন্য আরব আমিরশাহীতে যেমন ছিলেন, তেমনই দলের বাকি সদস্যরা তখন কাতারে অনুশীলন চালিয়েছে গত দেড় মাস ধরে। জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার যোগ দিয়েছেন আফগানিস্তানের কোচিং সদস্য হিসেবে।
advertisement
নবি মনে করেন দীর্ঘদিন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের দায়িত্বে থাকা ফ্লাওয়ার আফগান ক্রিকেটারদের আধুনিক ক্রিকেট সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য দিতে পারবেন। অধিনায়ক হিসেবে নবি চান আফগানিস্তান টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সব অসুবিধার কথা ভুলে গিয়ে মাঠে ভয়ডরহীন ক্রিকেট উপহার দিক। তিনি আশাবাদী দলের প্রত্যেক সদস্য নিজেদের উজাড় করে দেবেন। নাজিবুল্লাহ জাদরান, শহীদী, দৌলত জাদরান, গুলোবদিন নাইবরা বিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করবেন।
তালিবান দখলে আফগানিস্তান। খেলাধুলায় একের পর এক বিধিনিষেধ। দেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে বড় সিদ্ধান্ত রশিদ খানের। বোর্ডের প্রতি একরাশ অভিমান নিয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব আগেই ছেড়েছিলেন আন্তজার্তিক ক্রিকেটের প্রসিদ্ধ আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। তালিবান আছে তালিবানেই। ক্ষমতা পেতেই খেলার মাঠে জারি ফতোয়া।
আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করার আগে তালিবানরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, খেলার মাঠে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু, কথায় ও কাজে যে আকাশপাতাল পার্থক্য আছে, তা আবারও বুঝিয়ে দিয়েছে তালিব প্রশাসন। এরই মাঝে বিস্ফোরক অভিযোগ আফগান অধিনায়কের। ACB অর্থাৎ আফগান ক্রিকেট বোর্ডের উদ্দেশে টুইটারে অভিমান ভরা খোলা পোস্ট। অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন রশিদ। এরপরই টুইটে টি ২০ দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন রশিদ।
সম্প্রতি তালিবানদের কালচরাল কমিশনের ডেপুটি হেড আহমাদুল্লা ওয়াসিক বলেছিলেন, ‘মহিলাদের ক্রিকেট খেলার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। ক্রিকেটে মহিলাদের মুখ ও শরীর ঢাকা থাকে না। ইসলাম এই ধরণের বিষয় বরদাস্ত করে না। তাই মহিলাদের খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছ।’ সেই রশিদ খান অবশ্য জানিয়েছেন ক্রিকেট মাঠে দেশের জন্য লড়াই করার সময় অন্য কিছু মাথায় থাকবে না। একটা দল হিসেবে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে আফগানিস্তান।