পেলে আরও বলেছেন, ‘‘ বন্ধুরা আমি চাই সকলে ঠাণ্ডা ও পজিটিভ থাকুন৷ ’’ নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ফুটবল সম্রাট বলেছেন, ‘‘ অনেক আশায় ভর করে শক্তিশালী৷ আমার নিয়মিত চিকিৎসা হবে৷ ’’
চিকিৎসকরাও এখনি ভেঙে পড়তে নারাজ৷ তাঁরাও জানিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকার অবস্থা স্থিতিশীল৷ গত কয়েকদিনের তুলনায় শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে এমনটাও তারা জানননি৷
আরও পড়ুন - Quarter Final Line Up: জিতল আর্জেন্টিনা, নেদারল্যান্ডস, প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল কবে কখন, জানুন
চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘‘চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন পরিস্থিতির অবনতি হয়নি, এটাই গত ২৪ ঘণ্টার ক্লিনিকাল পরিস্থিতির ছবি৷’’- সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে এই কথা বলা হয়েছে৷ শনিবার তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তীর শরীর খারাপ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসা তথ্যের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন চিকিৎসকরা৷
এদিকে এর আগে তাঁর শরীর খারাপের খবরে বিশ্ব জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ দোহায় আসার ইচ্ছে ছিল তাঁর। শরীর সঙ্গ দেয়নি। ১৯৭৩ সালে তিনি স্যান্টোসের হয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে প্রথমবার এসেছিলেন দোহায়। সেই স্মৃতির কথা বলেছিলেন কিছুদিন আগেই। জানিয়েছিলেন, মনটা তাঁর পড়ে রয়েছে কাতারে। বিশ্বকাপ দেখার আরেকটা সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। কিন্তু ৮২ বছরে জরাজীর্ণ শরীরটা সঙ্গ দিল না।
পেলের মন চাইল, শরীর পারল না। এবারের বিশ্বকাপ তাঁর মাঠে বসে দেখা হয়নি। আর বিশ্বকাপটা মাঝপথে ফেলেই চলে যেতে হল হাসপাতালে। ফুটবল সম্রাট হাসপাতালে। এমন খবরেই মন খারাপ হয় গোটা বিশ্বের। তার উপর এটাও শুনতে হচ্ছে, পেলের শরীর আর কেমোথেরাপিতে সায় দিচ্ছে না। পেলে সাড়া দিচ্ছেন না।
পেলের শরীরে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছিল অনেকদিন আগেই। তার উপর হৃদযন্ত্রে সমস্যা। সেইসঙ্গে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ। এই মুহূর্তে চিকিৎসায় আর সাড়া দিচ্ছে না ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির শরীর। পেলেকে এই মুহূর্তে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্যালিয়াটিভ কেয়ার ইউনিট হচ্ছে মৃত্যুপথযাত্রীদের কষ্ট উপশমকারী একটি ইউনিট। সেখানে রোগীকে বাঁচিয়ে তোলার কোনও আশাই দেওয়া হয় না। বরং মৃত্যু পর্যন্ত সেই ব্যক্তির কষ্ট যতটা কমানো যায়, সেই চেষ্টাই করা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পেলে কি আর ফিরবেন না!
পেলেকে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে নেওয়ার বিষয়টি প্রথম জানিয়েছিল, ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম ‘ফোলহা ডে সাও পাওলো’। তার পর থেকেই উদ্বেগ গোটা বিশ্বে।
তবে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে নেওয়া মানেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু, এমন নয় ব্যাপারটা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রায় ১ বছরের বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারেন অসুস্থ ব্যক্তি। পেলের জন্য তাই গোটা বিশ্বের এখন প্রার্থনা ছাড়া কিছুই করার নেই যেন!