হুগলির চুঁচুড়ার ষষ্ঠী তলায় বাসিন্দা রক্তিম মন্ডল। তার বাবা ঝন্টু মার্বেল কন্ট্রাক্টার ও মা মৌমিতা গৃহবধূ। রক্তিমের বাবা যা উপার্জন করে তাই দিয়েই চলে তাদের সংসার। তবে ছেলেকে খেলাধুলায় তারা মা বাবা কোনদিনও বাধা দেয়নি ছেলেকে, বরং উৎসাহ দিয়েছেন। বর্তমানে চুঁচুড়া চকবাজার এ্যাবট শিশু হলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে রক্তিম। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ তার। স্কুলে যাওয়ার পথে স্থানীয় ক্লাবে ক্যারাটে খেলা দেখতো, তখন থেকেই তার খেলার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। চার বছর বয়সে তার মা তাকে স্থানীয় কোচের কাছে ভর্তি করেন। কিন্তু কোভিডের কারণে এক বছর তা বন্ধ ছিল। রক্তিমের যখন পাঁচ বছর তখন স্থানীয় ক্যারাটে কোচ দিব্যেন্দু দাস এর কাছে ভর্তি করে সেখানে দু’বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে খুদে খেলোয়ার। প্রতিদিন সকাল বিকাল ৬ থেকে ৭ ঘন্টা নিয়ম করে চলে তার অনুশীলন।
advertisement
রক্তিম এর মা মৌমিতা দাস জানান,”ছেলের এই সাফল্যের জন্য পুরো কৃতিত্বই তার কোচের। কারণ তিনি ছেলেকে যেভাবে গাইড করেন তার জন্যই ছেলে আজ এত দূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে। ছেলে যখন খেলছিল তখন আমার কিছুটা ভয় লাগছিল, কিন্তু যখন গোল্ড পেল সেই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।” পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাও চালিয়ে যায়। স্কুলের শিক্ষাকরাও সাহায্য করেন। রক্তিম বলে, “ক্যারাটে তে আমি গত বছরেও গোল্ড পেয়েছি, এ বছরও গোল্ড পেলাম। আগামী দিনে আরও ভাল করে খেলতে চাই।”
রক্তিম এর কোচ দিব্যেন্দু দাস বলেন,”রক্তিম গোল্ড পেয়েছে, এটা আমার কাছে খুব গর্বের কারণ। ও খুব পরিশ্রম করে, ও যেভাবে খেলে তাতে ওকে খুব একটা বেশি শেখাতে হয় না। প্রথমে জেলা তারপর রাজ্য স্তরে খেলা হয়। রাজ্যে যে প্রথম হয় সেই একমাত্র ন্যাশনালে খেলতে পারে । রক্তিম গতবছরও দিল্লিতে কিও তে গোল্ড মেডেল পেয়েছিল। এ বছর মোট পাঁচ রাউন্ড খেলে গোল্ড মেডেল পেয়েছে। আগামী দিনে ও আরও ভাল করবে।”
রাহী হালদার





