আরও পড়ুন - IND vs ZIM : প্রবল জলের অভাব জিম্বাবুয়েতে, পুল সেশন বন্ধ ভারতীয় ক্রিকেট দলের
প্রতিটি জায়গাতে সমস্যা একই। দাবি, জাতীয় ক্রীড়ানীতি অনুসারে সংবিধান তৈরি করতে হবে। প্রায় সব সংস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে কেউ না কেউ ক্ষমতা দখল করে ছিলেন। নির্বাচন হয়নি অনেক দিন ধরে। হকি ইন্ডিয়ার সভাপতি ছিলেন নরিন্দর বাত্রা। তিনি সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। ছেড়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক হকি সংস্থায় (এফআইএইচ) তাঁর পদও। সমস্যা তাতেও মেটেনি।
advertisement
এআইএফএফের মতোই হকি ইন্ডিয়াতে সর্বেসর্বা হয়ে বসেছে সিওএ। হকি সংস্থার বিপদ আরও বেশি। কারণ সামনের বছর ভারতেই বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে। রৌরকেলাতে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। এফআইএইচ যদি হকি ইন্ডিয়াকে নির্বাসিত করে দেয়, তা হলে সামনের বছর ভারতে বিশ্বকাপ হবে না। ভারতও বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না।
টেবিল টেনিসেও একই অবস্থা। দিল্লি হাইকোর্টের রায় অনুসারে সেখানে সিওএ বসানো হয়েছে। সিওএ-কে প্রশাসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সিওএ-ও বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসের আগে বেশ কিছু খেলোয়াড়কে অন্যায্য ভাবে বাদ দেওয়া হয়। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর দিয়া চিতালে খেলার সুযোগ পান। বাকিরা পাননি।
আইওএ-কে যদি নির্বাসিত করা হয়, তা হলে বিরাট সমস্যায় পড়বেন ভারতের ক্রীড়াবিদরা। অলিম্পিক্স তো বটেই, আইওএ-র অধীনে যে ক’টি ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে, তাদের কোনও ক্রীড়াবিদ কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। রাতারাতি হাজার হাজার ক্রীড়াবিদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
সব মিলিয়ে, ভারতের বেশির ভাগ খেলাধুলোতেই এখন তৈরি হয়েছে সমস্যা। আদালতের হস্তক্ষেপ এবং কর্তাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা শুধু ফুটবল নয়, রয়েছে দেশের বেশিরভাগ খেলাতেই। তবে এভাবে চলতে থাকলে তাড়াতাড়ি ভারতীয় ক্রীড়াজগতে অন্ধকার নেমে আসবে তাতে সন্দেহ নেই।