মণীশ আর খেমরাজ। দুই বন্ধু এমন একটা কল পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করেনি। তাদের মোবাইলে ফোন কল আসে একদিন। ফোন ধরতেই উল্টোদিক থেকে একজন বলে ওঠে, ‘হ্যালো! বিরাট কোহলি বলছি…।’ এর পর সেই ফোনে কল আসে এবি ডি ভিলিয়ার্স, রজত পাতিদারের মতো তারকাদেরও।
আরও পড়ুন- ‘ঝগড়া হলেই…’, ধনশ্রীর ‘লোভ’ ফাঁস করেন চাহাল, ডিভোর্সের কারণ জানাজানি আবার!
advertisement
২৮ জুন স্থানীয় একটি দোকান থেকে একটি সিম কার্ড নেন মণীশ। এর পর নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করেন। তার পর দেখেন, নিজে থেকেই তাঁর প্রোফাইল পিকচারে ভেসে উঠেছে ক্রিকেটার রজত পাতিদারের ছবি। প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। কয়েকদিন পরেই তার ফোনে কল আসে বিরাট কোহলির। তার মাঝে একবার ফোন করেন এবি ডি ভিলিয়ার্সও।
মণীশ এবং খেমরাজ মজা করতে শুরু করে। তাঁরা নিজেদের ‘মহেন্দ্র সিংহ ধোনি’ বলে পরিচয় দিতে শুরু করে। এর পর ১৫ জুলাই অপরিচিত একটা নম্বর থেকে ফোন পান মণীশ। উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, “ভাই, আমি রজত পাতিদার বলছি। এই নম্বরটা আমার। দয়া করে ফেরত দিয়ে দিন।” মণীশ তখনও মজা করে বলেন, “আমিও এমএস ধোনি।” রজত পাতিদার তাকে বারবার বোঝান। তবে ফল কিছু হয়নি।
সেই ফোন কলের ১০ মিনিট পর মণীশের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। তখন সবটা জানতে পারে দুই বন্ধু। কোনও সিম কার্ড ৯০ দিন বা তার বেশি সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকলে তা অন্য কাউকে দিয়ে দেয় মোবাইল অপারেটর সংস্থা। পাতিদারের সিম-এর ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নিজের নম্বর ফেরত পেয়েছেন তিনি।