এই ঘটনাটি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এমনিতেই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে অতিরিক্ত নাটকীয়তা যোগ করে। তবে নাশরার আগ্রাসী দৃষ্টির জবাবে হারমানপ্রীত কউর ছিলেন সম্পূর্ণ শান্ত ও সংযত। তিনি চাপে থেকেও নিজের নেতৃত্বগুণ এবং মনঃসংযোগ ধরে রাখার অসাধারণ ক্ষমতা দেখান। তবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে গালাগালি করে বসেন।
এই ঘটনাটি তুলে ধরে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের সেই চিরপরিচিত উত্তেজনা ও আবেগ, যা এখন শুধু পুরুষদের ক্রিকেটে নয়, মহিলাদের ক্রিকেটেও সমানভাবে রয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে প্রায়ই খেলোয়াড়দের মধ্যে আবেগে বহির্প্রকাশ দেখা যায়। এই ধরনের নাটকীয় মুহূর্ত মাঠের উত্তেজনা অনেকগুণ বাড়িয়ে তোলে।
advertisement
নাশরা সান্ধুর “ডেথ স্টেয়ার” ম্যাচে এক ঝলক উত্তাপ ছড়ালেও তা ছিল খেলোয়াড়দের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনোভাব এবং খেলার প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। তবে আবেগ খেলার অংশ, তবুও প্রতিটি দলকেই এই ধরনের আবেগ সামলাতে শিখতে হবে, কারণ টুর্নামেন্ট যত এগোবে, চাপ তত বাড়বে — এবং সেখানেই প্রকৃত মানসিকতা ও নেতৃত্বের পরীক্ষা।
ভারতীয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব ২০২৫ ICC মহিলা বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে মন্তব্য করে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে দেন। এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচকে ঘিরে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখন সুর্যকুমারের মন্তব্য ক্রিকেটবিশ্বে একপ্রকার আলোড়ন তোলে।
মহিলা ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন: “আমি আবারও বলব, প্রতিদ্বন্দ্বিতা তখনই হয় যখন লড়াই সমানে-সমান হয়। ১১-০ হলে সেটা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে না। আমাদের মেয়েরা যদি শুধু ভাল ক্রিকেট খেলে, তাহলে এটা ১২-০ হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন- ভারত-পাকিস্তান মহিলা বিশ্বকাপের মঞ্চেও নৌ হ্যান্ডশেক বিতর্ক! নেট দুনিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
এই বক্তব্যে তিনি ইঙ্গিত করেন যে, ভারতীয় মহিলা দল এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫০-ওভারের ফরম্যাটে ১১টি ম্যাচে অপরাজিত, এবং সেই ধারা অব্যাহত থাকলে এবারও জয় তাদের সঙ্গী হবে। সুর্যকুমারের এই চাঁচাছোলা মন্তব্য অনেকের কাছেই আত্মবিশ্বাসের প্রতীক, আবার কেউ কেউ একে মনে করছেন প্রতিপক্ষকে খোঁচা দেওয়া। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তার এই বক্তব্যে ম্যাচটির উত্তেজনা আরও কয়েক গুণ বেড়ে দিয়েছিল।