ছোট একটি দোকানে ১২ ঘণ্টা কাজ করতেন হর্ষল প্যাটেল৷ তিনি ১৫০০ টাকা পেতেন৷ তিনি একাধিক জায়গায় ‘না’ শুনেছেন৷ একবার তাঁকে আইপিএল থেকে মাঝপথে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু প্রতিটা পরিবর্ত পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন৷
আরও পড়ুন - শিখর ধাওয়ান ও ঋষি ধাওয়ান কি ভাই, উত্তাল নেট দুনিয়া, আপনি জানেন তো
advertisement
হর্ষল প্যাটেল নিজের জীবনের কাটিয়ে আসা দিনের চাঞ্চল্যকর সত্যি তুলেছেন৷ ‘ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন্স’ শো তে বলেছেন৷ তাঁর পরিবার একটা সময়ে আমেরিকায় ছিল৷ তিনি এক পাকিস্তানি সুগন্ধী দোকানে কাজ করতেন৷ তিনি ১৪ বছর আগে রোজ ৩৫ ডলার অর্থাৎ ১৫০০ টাকায় কাজ করতেন৷ তাঁকে ঘরে ও বাইরে লড়াই করতেন৷
২০১৭ সালে হর্ষল প্যাটেল আরসিবিতে খেতেন তখন একদিন ড্যানিয়েল ভেত্তোরি কোচিং স্টাফরা মিলে বলেছিলেন আগামী ৪-৫ টি ম্যাচ তারা খেলবেন না৷ তাই তিনি যেন বাড়ি চলে যান৷ এরপর যখন আরসিবি যখন খারাপ খেলছিল তখন এক ম্যাচ খেলতে আসার জন্য তাঁকে মেসেজ করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট৷
তিনি জানিয়েছেন ‘‘আমি ছোটবেলা বাবাকে সপ্তাহে সাতদিন কাজ করতে দেখেছি৷ ঠাণ্ডা-গরম -বৃষ্টি কখনই ছুটি নেননি৷ আমার বাবা-মা ২০০৮ সালে আমেরিকায় গিয়েছিলেন৷ তখন আমার বয়স ছিল ১৭ বছর৷ আর্থিকভাবে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম৷ ভাষা জানতাম না৷ ওখানে বছরের পর বছর শ্রমিকের কাজ করতে হয়৷ আমাকেও আমেরিকায় গিয়ে কাজ করতেই হত৷ পরিবার ও নিজের দায়িত্ব নিতে হত৷ তখন নিউ জার্সিতে এক পাকিস্তানি ব্যক্তির পারফিউমের দোকানে চাকরি করতে হত৷ ইংরাজি আসত না৷ কারণ গুজরাতি মিডিয়ামে পড়াশুনো করেছি৷ আমেরিকায় স্লগ ইংরাজি চলে না৷ আমি ধীরে ধীরে গ্যাংস্টার ইংরাজি শিখে নিই৷ ’’
দিনে বারো -তেরো ঘণ্টাও কাজ করে দিনে ৩৫ ডলার পেতেন, যা আমেরিকার লাইফস্টাইলের হিসেবে প্রায় কিছুই না৷