পান্ডিয়া তাঁর বান্ধবীর সেই ছবি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রকাশ্যে। সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় দলে ফিরে আসতে চলা এই অলরাউন্ডার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি কঠোর বার্তা দিয়ে বলেছেন, স্পষ্টভাবে এই ঘটনায় সেই ফটোগ্রাফার সীমা লঙ্ঘন করেছেন।
পান্ডিয়া বলেছেন, “আমি বুঝি যে জনসম্মুখে থাকা মানে মনোযোগ ও নজরদারি—এটা জীবনের অংশ হিসেবে আমি বেছে নিয়েছি। কিন্তু আজ এমন কিছু ঘটেছে যা সীমা অতিক্রম করেছে। মাহিকা বান্দ্রার একটি রেস্তোরাঁর সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিল, আর পাপারাৎজি এমন এক কোণ থেকে তাঁর ছবি তোলে যেখান থেকে কোনও মহিলার ছবি তোলা উচিত নয়। একটি ব্যক্তিগত মুহূর্তকে সস্তার প্রচারে পরিণত করা হয়েছে।”
advertisement
ভারতীয় অলরাউন্ডার ঘটনাটিকে ভালভাবে নেননি। তিনি মহিলাদের প্রতি আরও সম্মানজনক আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন। হার্দিক আরও বলেছেন, তিনি সব সময়ই মিডিয়াকে সম্মান দেখিয়েছেন, তবে এটিও বোঝা জরুরি যে সব কিছু ক্লিক, ভিউয়ারশিপ বা সেনসেশনালিজম কেন্দ্র করে হওয়া উচিত নয়।
হার্দিক বলেছেন, “শিরোনাম তৈরির জন্য কে কী ছবি তুলল, সেটা বিষয় নয়। এটি সম্মানের প্রশ্ন। মহিলারা মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত সীমা রয়েছে। প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করা মিডিয়ার ভাইদের বলছি, আমি আপনাদের পরিশ্রমকে সম্মান করি এবং সবসময় সহযোগিতা করি। কিন্তু আপনাদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে আরও সচেতন হোন। সব কিছু ক্যামেরাবন্দি করতে হবে না। সব কোণ থেকে ছবি তোলার প্রয়োজন নেই। এই খেলায় কিছুটা মানবিকতা বজায় রাখি আমরা। ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন- বিয়ে ভাঙার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়িত্বে ফিরলেন স্মৃতি মন্ধানা! ব্যক্তিগত জীবন রইল পিছনে…
হার্দিক এ বছর অক্টোবর মাসে নিশ্চিত করেন যে তিনি মাহিকার সঙ্গে সম্পর্কে আছেন। গুজব ছড়াতে শুরু করার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মাহিকার বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছিলেন, যার মধ্যে একটি ছবিতে তারা দু’জন একসঙ্গে সুইমিং পুলে ছিলেন। তিনি মাহিকাকে তাঁর “১১:১১ উইশ” বলে উল্লেখ করে বোঝান যে মাহিকা তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ!
