আরও পড়ুন - IPL closing ceremony : সুপারহিট শো! আইপিএল সমাপ্তি অনুষ্ঠান মাতিয়ে দিলেন রণবীর, রহমান!
ফাইনালে রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন এবং টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে বল হাতে ফিরিয়ে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সঞ্জুকে পরাস্ত করলেন পেস দিয়ে। বাটলারকে বোকা বানালেন লেট সুইংয়ে। শুধু দুটো উইকেট নেওয়া নয়। বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব করলেন হার্দিক।
advertisement
বোলিং থেকে ফিল্ডিং পরিবর্তন করলেন নিখুঁত পরিস্থিতি যাচাই করে। ম্যাচে কখনই রাজস্থানকে দাপট দেখাতে দিলেন না। যারা একটা সময় তার ফিটনেস, অস্ত্রোপচার, অল রাউন্ডদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাদের আবার জবাব দিলেন হার্দিক। গুজরাত টাইটানস রান তাড়া করে জেতার ব্যাপারে পারদর্শী। ফাইনালে অঘটন না ঘটলে গুজরাতের চ্যাম্পিয়ন হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।
এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার পুনর্জন্ম ঘটাল। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাসঙ্গিকতায় তিনি ফুরিয়ে যাননি বোঝা গেল। বরং প্রবলভাবে ফিরে আসেন সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। যখন মনে হচ্ছিল দুটো উইকেট নিয়ে শেষ হবে হার্দিকের স্পেল, ঠিক তখন আবার চমক।
থ্রি কোয়ার্টার লেন্থ বলে তুলে নিলেন হেটমায়ারকে (১১)। কট অ্যান্ড বোল্ড করলেন। বল হাতে রশিদ খান এদিন নিজের নামের প্রতি সেভাবে সুবিচার করতে না পারলেও তাকে সারাক্ষণ মোটিভেট করে গেলেন হার্দিক। একটা সময় বখাটে, বিতর্কিত ক্রিকেটার আজ দায়িত্ববান অধিনায়ক।
তার মধ্যে একটা দুর্দান্ত অধিনায়ক সত্তা লুকিয়ে আছে কে জানত? তিনি বোলিং করতে পারবেন কিনা সন্দেহ ছিল। এই টুর্নামেন্টের পর যাবতীয় জবাব দিয়ে দিয়েছেন গুজরাত অধিনায়ক।