বলেই উদাহরণ টেনেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলের। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মুখে নাম না নিলেও রবি শাস্ত্রির আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু বর্তমান বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সেটা বোঝা যায়। ক্রিকেট জীবনে তিনি কাউকে পরোয়া করেননি। হরভজন সিং বরাবর বেপরোয়া। এবার পরিষ্কার জানালেন রবি শাস্ত্রির মুখে লাগাম লাগানো উচিত। একটু বুঝে কথা বলা উচিত।
advertisement
বিরাট কোহলি ভারতের টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, কোহলির বেশিদিন দলকে নেতৃত্ব দিক, এটা অনেকেরই সহ্য হবে না। এমন শাস্ত্রীয় বিতর্কিত মন্তব্যের পর এবার পাল্টা জবাব দিলেন হরভজন সিং। তিনি শাস্ত্রীর এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন। স্পোর্টস টক' কে হরভজন বলেন, কোহলি আরও ১০-১৫টা ম্যাচ জিতে সর্বকালের সেরা টেস্ট অধিনায়ক হয়ে যাক, এটা নাকি অনেকের সহ্য হবে না!
শাস্ত্রীর এই মন্তব্য কিন্তু অনেক বড়। জানি না উনি কার কথা বলছেন। কে কোহলির সাফল্য সহ্য করতে পারবে না! তবে আমরা ভারতীয়রা কিন্তু ইতিমধ্যেই কোহলির সাফল্যে যথেষ্ট গর্বিত। আমাদের সকলেরই ইচ্ছা ছিল কোহলি আরও ৪০টা ম্যাচ জিতে এমন পর্যায়ে যাক, অন্য কোনো অধিনায়ককে যেন সেই পর্যায়ে যেতে দুবার নেতৃত্ব দিতে হয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারের পর টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে সরে দাঁড়ান কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে ৬৮ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ৪০টি জয় পেয়েছেন। পরিসংখ্যানের বিচারে কোহলিই ভারতের সর্বকালের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক।
সম্প্রতি শাস্ত্রী তার নেতৃত্ব ছাড়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে কোহলি তার দায়িত্ব চালিয়ে গেলে ৫০-৬০টি জয় নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে পারত। হরভজন মনে করেন এত বেশি মন্তব্য করে সঠিক কাজ করছেন না ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট কোচ। এমনিতে বরাবর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে আবেগপ্রবণ হরভজন।
সৌরভ না থাকলে জাতীয় দলে তিনি নিয়মিত সদস্য হতে পারতেন না, বহু ক্ষেত্রে বলেছেন জলন্ধরের সর্দার। তিনিও বুঝেছেন রবি শাস্ত্রির আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু সৌরভ। তাই চুপ থাকতে পারেননি প্রাক্তন ভারতীয় অফ স্পিনার।