৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি ভারতের কাছে মাইলস্টোন ম্যাচ। কেন না, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১ হাজারতম একদিনের আন্তর্জাতিক খেলবে ভারত। ইংল্যান্ডকে টি ২০ সিরিজে পরাস্ত করে ক্যারিবিয়ানে পা রাখার আগে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই হবে একদিনের সিরিজের তিনটি ম্যাচ।
advertisement
আরও পড়ুন - Virat Kohli leader: অধিনায়ক না হলেও নিজেকে নেতা ভাবতে পছন্দ করি, অকপট বিরাট কোহলি
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই যে এই পদক্ষেপ তা জানানো হয়েছে। আমেদাবাদে একদিনের সিরিজের ম্যাচগুলি হবে ৬, ৯ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। ক্লোজড ডোরে সিরিজ খেলে টি ২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে কলকাতায় আসবে দুই দল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টি ২০ আন্তর্জাতিক সিরিজের তিনটি ম্যাচ হবে ১৬, ১৮ ও ২০ ফেব্রুয়ারি।
গতকালই রাজ্য সরকার জানিয়েছে, স্টেডিয়ামে ৭৫ শতাংশ দর্শক নিয়ে খেলাধুলো আয়োজন করা যাবে। এরপরই সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া জানান, নভেম্বরে ভারত-নিউজিল্যান্ড টি ২০ ম্যাচ চলাকালীন ৭০ শতাংশ দর্শককে ইডেনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা হয়েছিল ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ-সহ ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত সকলকে।
এবারও তেমনভাবেই সাফল্যের সঙ্গে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি ২০ সিরিজ আয়োজনে সিএবি প্রস্তুত বলে জানানো হয়। তবে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত সিএবিকে অস্বস্তিকে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে দুই দলকে ৬টি শহরে যেতে না হয় সে কারণে একদিনের সিরিজ ও টি ২০ সিরিজ শুধু দুটি শহরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
প্রথমে এমনটাও ভাবা হচ্ছিল যে শুধু আমেদাবাদেই হবে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। শেষমেশ ইডেনে আনা সম্ভব হয় টি ২০ সিরিজটিকে। সিএবি দর্শক রেখে খেলা আয়োজনের জন্য তৈরি থাকলেও বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করবে বিসিসিআই-ই। বোর্ডের অনেক কর্তাও চান না কোনও ঝুঁকি নিতে।
কেন না, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজ রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে লজ্জাজনক পরাজয় নিয়ে ফেরার পর এখন দেখার ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে দুটো সিরিজ দেশেই রাখতে পারে কিনা ভারত।