২০১৮ সালের দুঃস্বপ্ন ভুলে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ দিতে মুখিয়ে মুলার, ন্যুয়াররা।। ইউরোপ থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট অর্জন করেছিল জার্মানি। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যানে জর্মানদের ধারাবািহকতার অভাব ধরা পড়েছে। কোচ হান্সি ফ্লিক দলকে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে সাজাচ্ছেন। কিমিচ, মুসিয়ালাদের লড়াইয়ের মন্ত্র পজিশন নির্ভর ফুটবল। বলের দখল যতটা সম্ভব নিজেদের দখে রেখে প্রতিপক্ষকে বলের পিছনে দৌড় করিয়ে ক্লান্ত করে দাও। আর সুযোগ পেলেই দ্রুত প্রতিআক্রমণে ওঠো। তাই জন্য একটি পজিশনে একাধিক ফুটবলার তৈরি করে রেখেছেন ফ্লিক।
advertisement
তবে জার্মানির চিন্তা গোল করার লোকের অভাব। সুযোগ তৈরি করলেও গোলের মুখ খুলছে না। বিশ্বকাপ জিততে তাই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডের গন্যাব্রি, মুসিয়ালা, হ্যাভার্জদের বাড়তি নিতে হবে। জাপান ম্যাচে হাঁটুর চোটের জন্য ক্লিক পাবেন না সানেকে।
আরও পড়ুন - শারীরিকভাবে অক্ষম তরুণীকে ধর্ষণ, ২৫হাজার টাকার বিনিময়ে মিটিয়ে নেওয়ার হুমকি
অন্যদিকে এশিয়ার বড়শক্তি জাপান ১৯৯৮ থেকে প্রতিবার বিশ্বমঞ্চেও নিজেদের মেলে ধরেছে। গত বিশ্বকাপেও বেলজিয়ামের বিপক্ষে নকআউট পর্বে বিদায় নিয়েছিল শেষ মুহূর্তের গোলে। জাপানের দলের মূল শক্তি তাদের টিম কেমিস্ট্রি। পরস্পরের মধ্যে বোঝাপাড়াটা যেমন দারুণ, তেমনি হারের আগে হার না মানার মানসিকতা। জাপানের মেসি নামে খ্যাত তাকুমি মিনামিনো, তাকেফুসো কুবোদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ বিশ্বমঞ্চে জপানকে ভরসা যোগাচ্ছে। অসুস্থতার জন্য দেরিতে আসা মিতোমা প্রথম ম্যাচে রিজার্ভে থাকবেন বলে খবর।
আরও পড়ুন- FRA vs AUS: ফ্রান্সের একেবারে ঝকঝকে শুরু, অজি বধ, নয়া নজিরের হাতছানি জিরুর সামনে
জার্মানির মতো ৪-২-৩-১ ছকে খেলেন জাপান কোচ। ফলে সব বিভাগেই টক্কর এবার সেয়ানে সেয়ানে। ফিফা ক্রমতালিকায় ১১ নম্বরে জার্মানি। ২৪ নম্বরে জাপানের ফরাকও খুব বেশি নয়। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে দুইদেশ। সবশেষ প্রীতি ম্যাচও খেলেছে দেড় দশকের বেশি সময় আগে। ২ বারের সাক্ষাতে ১ বার জিতেছে জার্মানি। একবার ড্র।
ERON ROY BURMAN