একসময়ের দিল্লি ক্যাপিটাল্স পরে কেকেআরের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের বিশেষ অ্যাকশন৷ এই মুহূর্তে তিনি এলএসজি-র মেন্টর তিনি৷ অ্যাওয়ে ম্যাচে হারিয়েছেন আরসিবিকে৷ যেখানে খেলে তাঁর চিরদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী বিরাট কোহলি৷ কেরিয়ারে অনেকটা জুনিয়র হলেও দিল্লির গম্ভীর - দিল্লিরই বিরাটকে কোনওদিনই বিশেষ পছন্দ করেন না৷ আর এদিনেও তাঁর একেবারে মুখে আঙুল দিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা স্টাইলে ‘আবে খামোশ’ স্টাইলের সেলিব্রেশনে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে উঠে এল সেই ব্যক্তিত্বের পার্থক্যই৷
advertisement
আরও দেখুন
দেখে নিন ভাইরাল ভিডিও
আইপিএল ২০২৩-এর আরও একটি লাস্ট ওভার লাস্ট বল থ্রিলার। আরসিবি বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচে ১ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। একদিকে ব্যর্থ গেল যেমন ফাফ ডুপ্লেসি, বিরাট কোহলি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের ব্যাটিং। অপরদিকে, কার্যত অসাধ্য সাধন করে ম্যাচের হিরো হলেন মার্কাস স্টয়নিস ও নিকোলাস পুরান। এই দুই তারকার ব্যাটে ভর করেই জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস।
আরও পড়ুন - Heatwave Alert: হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা, হু হু করে বইবে লু, চামড়া পুড়বে বঙ্গে,রইল ওয়েদার আপডেট
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ করে আরসিবি। সর্বোচ্চ ফাফ ডুপ্লেসি ৭৯, তারপর বিরাট কোহলি এবং গ্লেল ম্যাক্সওয়েল ৫৯ রান করেন। এই প্রথমবার আরসিবির ইতিহাসে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার সকলেই ৫-এর উপরে রান করে। তবে তা কাজে লাগল না। রান তাড়া করতেন নেমে শেষ বলে ৯ উইকেটে হারিয়ে রান তোলে লখনউ। এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে লিগ টেবিলের টপে উঠে এল এলএসজি।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করে আরসিবির দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। একের পর এক নিজের ট্রেড মার্ক শট খেলতে থাকেন কোহলি। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন কোহলি-ডুপ্লেসি জুটি। ৩৫ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন বিরাট কোহলি। এরপর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন বিরাট। দলের ৯৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬১ রানে আউট হন কোহলি।
এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এসে শুরু থেকেই মারকাটারি ব্যাটিং করেন। মারমুখী মেজাজে ফেরেন ডুপ্লেসিও। নিজের অর্ধশতরান করেন আরসিিব অধিনায়ক। ঝড়ের গতিতে মাত্র ৪৪ বলে শতরানের পার্টনারশিপ করেন ডুপ্লেসি ও ম্যাক্সওয়েল জুটি। ২৪ বলে নিজ হাফ সেঞ্চুরি করেন ম্যাক্সওয়েল। শেষ ওভারে ২৯ বলে ৫৯ রান করে আউট হন ম্যাক্সওয়েল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২১২ রান করে আরসিবি। ৭৯ রানে ডুপ্লেসি ও ১ রানে কার্তিক নটআউট থাকেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ২৩ রানের মধ্যে কাইল মেয়ার্স, দীপক হুডা ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল এলএসজি। সেখানে থেকে দলের হাল ধরেন কেএল রাহুল ও মার্কাস স্টয়নিস। বিদ্ধংসী মেজাজে ব্যাটিং করেন স্টয়নিস। চার-ছয়ের ফুলঝুরিতে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন ৭৬ রানের পার্টনারশিপ করার পর আউট হন স্টয়নিস। ৩০ বলে ৬৫ রান করে আউট হন তিনি। ৯৯ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। পঞ্চম উইকেটের জন্য বেশি প্রতীক্ষা করতে হয়নি। দলের ১০৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৮ রানে আউট হন কেএল রাহুল।
এরপর ম্যাচে শুধু নিকোলাস পুরান ঝড়। ক্যারিবিয়ান তারকার বিধ্বংসী ব্যাটিং ম্যাচের রং পাল্টে দেয়। ১৫ বলে আইপিএলের দ্বিতীয় সবথেকে কম বলে অর্ধশতরান করেন পুরান। আয়োশ বাদোনির সঙ্গে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন। ১৯ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন পুরান। আয়ূষ বাদোনি ছয় মারলেও হিট উইকেট হন। তারপর ম্যাচের রম ফের পাল্টায় পরপর উইকেট হারিয়ে জেতা ম্যাচ চাপের করে ফেলে এলএসজি। ম্যাচের শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১ রান। শেষ উইকেট ব্যাট করছিলেন আবেশ খান। বল মিস করলেও রান আউট করতে ব্যর্থ হন কার্তিক। ১ উইকেটে ম্যাচ জেতে লখনউ সুপার জায়ান্টস।