আসলে সিধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বড়দা বলে সম্বোধন করেছিলেন। পাকিস্তানের করতারপুর গুরুদোয়ারা সাহিবে গিয়ে সিধু বলেছিলেন, ইমরান খান আমার বড় ভাইয়ের মতো। ওর থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি। যখনই দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে ইমরান খান এক পা বাড়িয়েছেন, ভারত দুকদম এগিয়েছে। মোদী সাহেব ও ইমরান ভাইকে অনুরোধ করছি, দরজা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। এতে দুই দেশের ব্যবসায়িক উন্নতি হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- স্পেশাল ব্রাঞ্চের তল্লাশি ইডেনে, মাছি গলার সুযোগ নেই ক্রিকেটের নন্দন-কাননে
ইমরান খানকে বড়দা বলে ডেকেছিলেন সিধু। আর সেটা একেবারে বরদাস্ত হয়নি গৌতির। তিনি কোনও রাখঢাক না করেই এদিন সিধুকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন। সিধুর বড়দা মন্তব্য নিয়ে দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেছেন, যে দেশ জঙ্গি পাঠায় সেখানকার প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভাইজানকে খুঁজে পেয়েছেন সিধু।
করতারপুর করিডরে পৌঁছানোমাত্র পাকিস্তানের তরফে ফুল-মালা দিয়ে স্বাগত জানানো হয় সিধুকে। পাকিস্তানি সেনার প্রধানকে জড়িয়েও ধরেছিলেন সিধু। তার পরই ইমরান খানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন তিনি। পাক প্রতিনিধিদল সিধুকে বলে, ইমরান খানের তরফে আপনাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। এর পরই সিধু পাক প্রধানমন্ত্রীকে বড়দা বলে সম্বোধন করেন। যা নিয়ে এখন দেশের রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে।
গৌতম গম্ভীর ছাড়া বিজেপির অনেকেই সিধুর পাক প্রধানমন্ত্রীকে বড় ভাই বলে ডাকাটা মেনে নিতে পারছেন না। সমালোচনা তীব্র আকার নিয়েছে। এদিকে পঞ্জাবের মন্ত্রী পরগত সিংয়ের দাবি, সিধু পাকিস্তানে গেলে দেশদ্রোহী হয়ে যান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গেলে দেশপ্রেমী হন।