লড়াইটা ফরাসি আক্রমণ বনাম পোলিশ রক্ষণ। বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আমনে-সামনে ফ্রান্স ও পোল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ককে হারালেও দুর্বল তিউনিশিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল ফ্রান্সকে।
যদিও সেই ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চের পরীক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন কোচ দিদিয়ে দেশঁ। এবার পরীক্ষার পালা শেষ। নকআউটে সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে ফ্রান্স। দলে ফিরছেন এমবাপে, গ্রিজম্যান, জিরুরা।
advertisement
তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে হার মাথায় রাখছে না ফরাসি শিবির। দুরন্ত ছন্দে থাকা এমবাপেই দেশঁর তুরুপের তাস। চোট আঘাতে একাধিক প্লেয়ার ছাড়া বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে নিজেদের জাত চিনিয়েছেন জিদানের উত্তরসূরিরা।
আত্মবিশ্বাসী ফ্রান্স অবশ্য রাউন্ড অফ সিক্সটিনের ম্যাচে সমীহ করছে পোল্যান্ডকে। লেওয়ানডস্কিদের কাউন্টার অ্যাটকমূলক ফুটবল আটকাতে প্ল্যান সাজাচ্ছেন দেশঁ।
অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার গ্রুপ থেকে গোলপার্থক্যে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় হয়ে নকআউটে পৌঁছেছে পোল্যান্ড। মেসিদের বিরুদ্ধে ডিফেন্সিভ ফুটবলে মনে ভরেনি ফুটবলপ্রেমীদের। তবে নক আউটে অন্য খেলা হবে, আশ্বস্ত করছেন পোল্যান্ড কোচ চেসলভ।
ক্লাব ফুটবলে মহা তারকা লেওয়ানডস্কিও শেষবার বিশ্বমঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া। মাঝমাঠে জিয়েলিনস্কি, আক্রমণে ম্যাটি ক্যাশরা পোলিশ শিবিরে ভরসার নাম। তবে ধরাবাহিকতার অভাব পোল্যান্ড শিবিরকে বরাবর ভুগিয়েছে।
গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে নিজেদের ১০০ শতাংশ দিতে বদ্ধপরিকর পোলিশ শিবির। পরিসংখ্যানের খাতা বলছে, এই দুই দেশের মুখোমুখি সাক্ষাতে এগিয়ে ফ্রান্স। ১৬ বারের মধ্যে ৮ বার জয়ী ফরাসি বাহিনী। ৩ বার ড্র। ৫ বার বাজিমাত পোল্যান্ডের।
আরও পড়ুন- `আর্জেন্টিনা দলের কথা লিখুন, আমাকে ফোকাস করবেন না' ! ইতিহাস তৈরি করে বললেন মেসি
১৯৮২ বিশ্বকাপে একমাত্র দেখা হয়েছিল দুই দলের। তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে ফ্রান্সকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল পোল্যান্ড। তবে শেষ ৫ সাক্ষাতে একবার জিততে পারেনি লেওয়ানডস্কিরা।
পোল্যান্ডের অন্যতম ভরসা গোলরক্ষক শেজনি। গ্রুপ পর্বে দুটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক তিনি। তার মধ্যে একটি মেসির পেনাল্টি সেভ। শুধু তাই নয় প্রায় ১৮ টা সেভ করেছেন। তাই ম্যাচ অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে টাইব্রেকারে গেলে অ্যাডভান্টেজ পোল্যান্ড। ম্যাচ শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়াই টার্গেট পোলিশদের।
আরও পড়ুন- সত্যিই তিনি হিরো, হাসপাতালের রোগশয্যা থেকে একেবার বড় বয়ান দিলেন খোদ ফুটবল সম্রাট
অন্যদিকে ফ্রান্স শিবিরের লক্ষ্য ৯০ মিনিটেই খেলা শেষ করে দেওয়ার।