সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক সাক্ষাৎকারে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শিখর ধাওয়ান। জানান যে,২ বছর হয়ে গেল, নিজের পুত্রকে চোখের দেখাটুকু দেখতে পাননি। আর এক বছরেরও বেশি সময় আগে শেষ বার পুত্রের সঙ্গে কথা হয়েছিল। শিখর ধাওয়ানের কথায়, “আমি চাই ও আনন্দে থাকুক, সুস্থ থাকুক। আমি এখনও ওকে প্রতি তিন-চার দিনে মেসেজ করি। যদিও আমায় ব্লক করে রাখা হয়েছে। ও আমার মেসেজ পড়বে, সেই আশাটুকুও আমি করি না। আর ও না পড়লেও আমি কিছু মনে করি না – আসলে ওর কাছে পৌঁছনোটাই আমার কর্তব্য। যেটা আমি করে যাব।”
advertisement
এখন শিখর ধাওয়ানের পুত্রের বয়স ১১ বছর। আর সন্তানকে কাছে না পেয়েও তার সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িয়ে থাকার জন্য় আধ্যাত্মিকতার পথই অবলম্বন করেছেন এই ক্রিকেটার। তাঁর বক্তব্য, “প্রায় ২ বছর হয়ে গিয়েছে, আমি আমার সন্তানকে চোখের দেখাটুকুও দেখতে পাইনি। আর এক বছর আগে ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। এটা খুবই কঠিন। কিন্তু এভাবে বাঁচতে শিখে যেতে হয়। আমি প্রতি মুহূর্তে ওকে মিস করি আর মনে মনেই ওর সঙ্গে কথা বলি… আর আমি অনুভব করি, প্রতিদিন ওর সঙ্গে কথা বলছি, ওকে জড়িয়ে ধরছি। আমি আধ্যাত্মিকতায় নিজের সমস্ত এনার্জি সঁপে দিয়েছে। কারণ শুধু এর মাধ্যমেই আমি আমার পুত্রকে ফিরে পাই।”
তিনি আরও বলেন যে, “আমি এভাবেই ওকে অনুভব করতে পারি। ওর সঙ্গে কথা বলি এবং খেলা করি। আমি যখন মেডিটেশনের বসি, তখন এই দৃশ্যগুলিই আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আর আমার ছেলের বয়স এখন ১১ বছর। ওর জীবনের মাত্র আড়াই বছর আমি ওকে দেখতে পেয়েছি।”
আরও পড়ুনঃ KKR vs CSK: সিএসকের বিরুদ্ধে কেকেআরের ব্যাটিং অর্ডারে দুই বদল! কে থাকছে দলে আর কে পড়ছে বাদ?
শিখর ধাওয়ানের এহেন পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন অনেকেই। অভিভাবক এবং সন্তান উভয়ের উপরেই বিবাহবিচ্ছেদের প্রভাব নিয়ে উঠছে গুরুতর প্রশ্ন। বিশেষ করে যখন একজন অভিভাবকের সঙ্গে বাচ্চার দেখা করার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে, তখন সেই অভিভাবক এবং সন্তানের উপর এর গুরুতর প্রভাব পড়ে। আর সেই কারণেই আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নিয়েছেন শিখর ধাওয়ান। আসলে যন্ত্রণাদায়ক বিচ্ছেদের অধ্যায় ভুলতে বিকল্প হিসেবে এই পথই অবলম্বন করতে হয়েছে তাঁকে।