কেউ কেউ সওয়াল করছেন কেএল রাহুল বা ঋষভ পন্থের হয়ে, আবার কারোর মতে অভিজ্ঞ অশ্বিনকে দেওয়া যেতে পারে অধিনায়কত্বের ভার। জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মহ শামিও জানিয়ে রেখেছেন দলের যে কোনও দায়িত্ব সামলাতে তাঁরা তৈরি। এই অবস্থায় ভারতের টেস্ট দলের পরবর্তী অধিনায়ক কীরকম হওয়া উচিৎ সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ভরত অরুণ।
advertisement
এক সর্ব ভারতীয় ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অরুণকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল অশ্বিন কী ভারতকে টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিতে পারেন? এর জবাবে অরুণ বলেছেন, বুমরাহকে অধিনায়ক করার বিষয়ে একটা দাবি উঠেছে। এখন কথা হচ্ছে, এরা কি প্রতিটা টেস্ট খেলতে পারবে? ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট করার ক্ষেত্রে বুমরাহ কি প্রতিটা টেস্ট খেলতে পারবে?
কী হবে যদি সিরিজের মাঝপথেই ওকে ব্রেক নিতে হয়? তখন আবারও নেতৃত্বের দিক থেকে চ্যালেঞ্জিং পজিশনের সম্মুখীন হতে হবে। অরুণ জানিয়েছেন, একজন বোলার যদি অধিনায়ক হয় তাতে দলের কোনও লাভ হবে না। যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করে তিনি বলেছেন, তার মনে হয় না সিরিজের মাঝপথে দল নেতা বদল করা উচিৎ, একমাত্র যদি সেই অধিনায়ক চোট না পেয়ে থাকে। একই বিষয় অশ্বিনের ক্ষেত্রেও। কী হবে যদি কম্বিনেশনে বদল করতে হয়?
বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয় একজন বোলার অধিনায়ক হলে পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে যে বিভিন্ন ধরনের পিচে খেলতে হবে। যদি বিদেশে একজন স্পিনারকেই খেলাতে হয় এবং দলের স্ট্র্যাটেজির কারণে তা যদি রবীন্দ্র জাডেজা হন, তখন হবে? তা হলে সমস্যা তৈরি হবে। তাই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আমি একজন ব্যাটসম্যানকেই বাছব।
মনে রাখা উচিত বর্তমান ক্রিকেট একমাত্র প্যাট কামিন্স অস্ট্রেলিয়া টেস্ট অধিনায়ক। কিন্তু সারা বছরে অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বেশি ক্রিকেট খেলতে হয় ভারতকে। তাই একজন ফাস্ট বোলার অধিনায়ক হলে তার চোট পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তুলনায় একজন ব্যাটসম্যানের চোট পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই ভরত অরুণ মনে করেন অধিনায়ক বেছে নিতে হলে একজন ব্যাটসম্যানকেই দায়িত্ব দেওয়া হোক।