১৩ বছরের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে ২৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন রউফ। ২০০০ সালে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হওয়ার পর ২০০৬ সালে আইসিসির এলিট প্যানেলে সুযোগ পান রউফ। পরের সাত বছরে তিনি আম্পায়ার হিসেবে বেশ সুনাম কুড়ান। আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে তিনি ৬৪টি টেস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন, যার ৪৯টিতে তিনি মাঠে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আর বাকি ১৫ টেস্টে টিভি আম্পায়ার হিসেবে।
advertisement
৯৮ ওয়ানডে আর ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। স্বদেশী সহকর্মী আলিম দারের সঙ্গে আইসিসি আম্পায়ার হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলেন রউফ। তবে ২০১৩ সালে মুম্বাই পুলিশের এক অভিযোগে তার ক্যারিয়ারটাই শেষ হয়ে যায়। সে বছর আইপিএলের ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে মুম্বই পুলিশের দেওয়া চার্জ শিটে শীর্ষ অভিযুক্ত ছিলেন তিনি।
সে বছরই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে তার নাম সরিয়ে দেয়, পরের বছর এলিট প্যানেল থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। যদিও আইসিসি জানায়, তদন্তে তার ওপর অভিযোগ আসার কারণে এটা করা হয়নি। আসাদ অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করেই গেছেন। জানিয়েছিলেন, আকসুর তদন্তেও তিনি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
২০১৬ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাকে ৪টি দুর্নীতির দায়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর আগে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন রউফ। আশির দশকে বেশ ভালো ফর্মে ছিলেন। ডানহাতি এই ব্যাটার ৭১টি প্রথম শ্রেণির এবং ৪০টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন। আসাদ রউফ কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের বাজারে নিজের জুতোর এবং পুরনো জামা কাপড়ের দোকান খুলেছিলেন। সেই খবরও জনপ্রিয় হয়েছিল ভারতে।