প্রাক্তন ফুটবলারের রক্তচাপ স্বাভাবিক নয়। এছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা রয়েছে। মাঝেমধ্যেই অসংলগ্ন কথা বলছেন তিনি। আপাতত ভেন্টিলেশনের সাহায্যে তাঁর অক্সিজেনের লেভেল ৯৪ থেকে ৯৮-এর মধ্যে রাখা হয়েছে। ইউরিন সমস্যা হচ্ছিল। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ একেবারেই স্বাভাবিক ছিল না। শুক্রবার বিকেলে বাইপাসের ধারে নার্সিংহোমে অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে দেখতে যান ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
advertisement
ভারতবর্ষের অন্যতম শিল্পী ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত উঠে আসেন ব্যান্ডেল থেকে। কলকাতার খিদিরপুর ক্লাবে বিখ্যাত কোচ অচ্ছুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচিংয়ে তার বেড়ে ওঠা। কলকাতা ময়দানে প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। ১৯৭৪ সালে কিংবদন্তি শৈলেন মান্নার হাত ধরে মোহনবাগানে আসেন সুরজিৎ। সেবার ১ বছর মোহনবাগানের হয়ে যথেষ্ট সুনাম এর সঙ্গে ময়দানে খেলতে দেখা যায় তাকে।
সেবার মোহনবাগান দলের দুটি প্রান্তে ছিলেন সুরজিৎ এবং সুব্রত চট্টোপাধ্যায় (গদাই)। প্রথম বছরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর সতীর্থ হিসেবে মোহনবাগানের ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য, নিমাই গোস্বামী, বিজয় দিকপতির মত দিকপাল ফুটবলাররা ছিলেন। পরের বছরেই চলে যান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। সেবার আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম গোলটি এসেছিল সুরজিতের পা থেকে।
সেবছর শিল্ড এবং কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। সিংহভাগ অবদান ছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর। ১৯৭৯ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ছিলেন সুরজিৎ। ১৯৭৮ সালে তার নেতৃত্বে দিল্লির মাঠে মোহনবাগানকে ৩-০ পরাজিত করে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। ১৯৮০ সালে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে এক ঝাঁক ফুটবলার লাল হলুদ ছেড়ে চলে আসেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে।
তাতে অগ্রণী ভূমিকা ছিল সুরজিতের। সেবার ডিসিএম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে মোহামেডানের হয়ে অনবদ্য ফুটবল খেলেন সুরজিৎ। ১৯৮৩ সালে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে ফিরে আসেন। পিয়ারলেস ট্রফিতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে অনবদ্য গোল করেন সেমিফাইনালে। ১৯৮৬ সালে অবসর ভেঙে ফিরে আসেন জর্জ টেলিগ্রাফের হয়ে খেলতে। সুভাষ ভৌমিকের অনুরোধে।