বেন ডেভিস, জো রডন, জো অ্যালেনদের মত ফুটবলাররা অবশ্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত খেলেন। ওয়েলসের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন, এমন একটা গুঞ্জনই গ্যারেথ বেলকে ঘিড়ে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু আপাতত তার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা স্ট্রাইকার। ডেনমার্কেন বিপক্ষে শেষ ১৬‘র ম্যাচে ৪-০ গোলের বড় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ইউরো ২০২০ থেকে বিদায় নিয়েছে ওয়েলস। এই ম্যাচের পর এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে ওয়েলস অধিনায়ক নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন।
advertisement
রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এক বছরের ধারে টটেনহ্যাম হটস্পারের খেলার সময় গত মাসে শেষ হয়েছে বেলের। তিনি জানিয়েছে কোথায় তার ভবিষ্যত অপেক্ষা এটা তিনি ভালভাবেই জানেন। একইসাথে দাবি করেছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে এ নিয়ে মন্তব্য করলে তা কেবল জটিলতাই বাড়াত। এদিকে এখনই অবসরের বিষয়ে কোন পরিকল্পনা নেই বলেও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
১৯৫৮ সালের প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলার হাতছানি এখন ওয়েলসের সামনে। এই মুহূর্তে বিশ্বকাপে খেলাই বেলের মূল লক্ষ্য। ওয়েলস টিভি চ্যানেল এসফোরসি‘কে দেয়া সাক্ষাতকারে বেল বলেন, 'আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। মানুষ সবসময় অযথাই এই বিষয়টি উত্থাপন করে। কিন্তু আমি অবশ্যই ওয়েলসের পক্ষে খেলতে ভালবাসি। ফুটবল ছাড়ার আগ পর্যন্ত আমি ওয়েলসের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চাই।'
বেলারুসের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ও ঘরের মাঠে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সেপ্টেম্বরে আবারো বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করতে যাচ্ছে ওয়েলস। গ্যারেথ বেল ক্লাব ফুটবলে শেষ কয়েক বছর ধরে নিজের জায়গা হারিয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ফিরে এসেছেন পুরনো ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারে । কিন্তু লাল জার্সি গায়ে দেশের হয়ে তিনি যে ফুরিয়ে যাননি সেটা প্রমান করার খিদে এখনও প্রবলভাবেই রয়েছে এই মহাতারকার। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের টিকিট জুটলেও লড়াইটা সহজ হবে না ওয়েলস দলের। বেশিরভাগ ফুটবলারদের বয়স তিরিশের ওপর। ফুটবলে যা পার্থক্য গড়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।