খেলা ছেড়ে কোচিং কেরিয়রে পা রাখার পরে সময়ের সঙ্গে সেই যোগাযোগ আরও বেড়েছিল। মুম্বাইয়ে গেলেই পদ্মশ্রী ঢু মারতেন শচীন কর্তার বাড়িতে। রোভার্স কাপ খেলতে কলকাতার ইস্টবেঙ্গল কিংবা মোহনবাগান কে নিয়ে প্রদীপ ব্যানার্জি মুম্বই এসেছেন শুনলেই টিম হোটেলে গাড়ি পাঠিয়ে দিতেন শচীন দেব বর্মন। তারপর নিজের ভিলায় চলত নির্ভেজাল আড্ডা দুপুর গড়িয়ে কখন সন্ধ্যে হয়েছে তো জানতেই পারতেন না দুই বন্ধু। জীবনের শেষ বেলায় এসেও গানের প্রতি তার আগ্রহ কিংবা অনুরাগ কোনটাই কমেনি। ঘরোয়া আড্ডায় পিকের গলায় শচীন কর্তার 'মনো দিলো না বধূ' কিংবা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের 'ধিতাং ধিতাং বোলে' প্রশংসা কুড়োত পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মত সঙ্গীত জগতের গুণীজনের।
advertisement
আসলে পিকে বন্দোপাধ্যায় মানুষটা এমনটাই ছিলেন। চেনা গণ্ডির বাইরে দৌড়ে বেড়াতেন সারাক্ষণ। খেলার বাইরে যে কোন বিষয়ে তার জ্ঞান, তার পাণ্ডিত্য ছিল তারিফ করার মত। পিকে মানে তো শুধু ভোকাল টনিক নয়! পিকে মানে শুধু আন্ডার ডগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঝলমলে ইতিহাস নয়। পিকে মানেই চমক। পিকে মানেই ষোল আনা সারপ্রাইজ প্যাকেজ। এমন বর্ণময় চরিত্র এই দেশের ইতিহাসে কমই এসেছে। খেলোয়াড় বা কোচ পিকে কিংবদন্তি। আর ব্যক্তি পিকে ছাপিয়ে যায় তাকেও। ঘরোয়া আড্ডায় পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শচীনকর্তার 'মনো দিলো না বধূ'-র কয়েক কলি গেয়ে ওঠার এক্সক্লুসিভ ভিডিও এসেছে নিউজ এইট্টিন বাংলার হাতে।
বয়স কিংবা অসুস্থতা কখনও থাবা বসাতে পারেনি পদ্মশ্রীর অফুরন্ত জীবনশক্তিতে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মাস কয়েক আগেও তাই সল্টলেকের বাড়িতে ঘরোয়া আড্ডায় কাছের মানুষগুলোর উপস্থিতিতে অনায়াসে সহজ ভঙ্গিতে পিকে বন্দোপাধ্যায় গেয়ে উঠতে পারেন 'মনো দিলো না বধূ'। ফিরে যেতেন তার ফেলে আসা সোনালী সময়টায়!
PARADIP GHOSH