গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে স্পেনের বিরুদ্ধে ড্র করলেও পরের দুটি ম্যাচেই জয়লাভ করে তারা। আলেকজান্ডার ইসাক, ফোর্সবার্গ সহ বেশ কিছু বড় নাম আছে এই সুইডেন দলে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লিন্ডেলফ ডিফেন্সে স্তম্ভ। তিন ম্যাচে মাত্র ২ গোল খেয়েছে সুইডেন। শেষ ম্যাচে লেওয়ান্ডস্কীর পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ৩-২ গোলে জয়লাভ করে তারা। এই জয়ে তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা এবং আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করেছে। কঠিন গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করায় তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে বলে মত অনেকের।
advertisement
তারকা ফুটবলার জলাটান ইব্রাহিমোভিচ না থাকার পরেও এই সুইডেন দল তিন ম্যাচে মোট ৪ গোল করেছে। অর্থাৎ দলের ফরোয়ার্ডরা খুব ভাল খেলছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেই ছন্দ তারা ধরে রাখতে চাইবে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে অস্ট্রিয়ার কাছে হেরে দ্বিতীয় স্থান খোয়াতে হয়েছে।গ্রুপ পর্বে জয় বলতে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের জন্য অংশ গ্রহণ করা নর্থ ম্যাসিডোনিয়ার বিরুদ্ধে। তাও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে মরিয়া দল। প্রথম ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে অসাধারণ ফুটবলের উপহার দেয় ইউক্রেন। ৩-২ গোলে হারলেও তাদের খেলা দেখে মুগ্ধ হয় গোটা বিশ্ব।
গ্রুপ লিগে মোট ৪টি গোল করে ইউক্রেন। কিন্তু তাদের ৫টি গোল হজমও করতে হয়েছে। তরুণ প্রতিভা সমৃদ্ধ এই টিম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারে বলে অনেকের মত। ম্যানচেস্টার সিটি খ্যাত জিনচেঙ্কর ওপর অনেকটাই ভরসা করে আছে ইউক্রেন ব্রিগেড। গোলের জন্য ইয়ার্মলেনকোর উপর নির্ভরশীল ইউক্রেন। গোল করতে পারেন ইরেমচুক।
মিডফিল্ডে অভিজ্ঞ মারলোস ইউক্রেনের সম্পদ। খাতায় কলমে এই ম্যাচে সুইডেন এগিয়ে থাকলেও অতীতে যতবারই এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ততবারই শেষ হাসি হেসেছিল ইউক্রেন। মোট ৫ বারে ৩ বার জিতেছে ইউক্রেন এবং ১ বার জিতেছে সুইডেন।