সুইডেনের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয়ে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইউক্রেন। শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ অন্য ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে দেওয়া ইংল্যান্ড। ইউক্রেনের কোচ আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোর অবশ্য সেটি নিয়ে বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা নেই। বরং ইংল্যান্ডকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে অঘটন ঘটানোর ছক এরই মধ্যে কষা শুরু করে দিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনের ফুটবল ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি শেভচেঙ্কো। খেলা ছাড়ার পর তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের দায়িত্ব।
advertisement
শুরুটা কিছুটা ধীরগতির হলেও কিংবদন্তির অধীনেই ইউক্রেন এখন স্বপ্ন দেখছে অনেক বড় কিছুর। শেষ ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে যেভাবে অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তের গোলে ইউক্রেন জয় তুলে নিল, তাতে দলটির দৃঢ়প্রতিজ্ঞাই প্রকাশিত। শনিবার ইউক্রেনের কোয়ার্টার ফাইনাল–পরীক্ষা ইংলিশদের বিপক্ষে। ম্যাচ শেষেই শেভচেঙ্কোর দিকে ছুটে গিয়েছিল ইংল্যান্ডকে নিয়ে প্রশ্ন। তাঁর সাফ জবাব, ‘ইংল্যান্ড খুবই ভাল দল। তাদের বেঞ্চ খুবই শক্তিশালী। দুর্দান্ত একজন কোচ আর কোচিং স্টাফ নিয়ে দলটা অন্য রকমই। আমরা পুরোপুরি সচেতন আছি, ম্যাচ কতটা শক্ত হতে পারে, সেটা নিয়ে।’
ইংল্যান্ডকে নিয়ে নিজেদের প্রস্তুতিটা যে মোটামুটি সন্তোষজনক, সেটাও বলেছেন তিনি, ‘ইংল্যান্ডের তিনটি গ্রুপ ম্যাচই দেখেছি। তবে ম্যাচ ছিল বলে জার্মানির বিপক্ষে তাদের জয়টা দেখতে পারিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করাটা খুবই শক্ত। তবে এটা ঠিক যে দলটাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচটা ইউক্রেনকে কতটা প্রভাবিত করছে, সেটিও জানিয়েছেন শেভচেঙ্কো, ‘জয়টা প্রেরণাদায়ী। কারণ, এই জয় প্রমাণ করেছে ফুটবলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। ফুটবলটা জীবনের মতোই। যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়াই করব। আশা করি, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারব।’
১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানিকে ৪–২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতার পর এই প্রথম তাদের বিপক্ষে কোনো টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে জিতল ইংলিশরা। সব মিলিয়ে ইংলিশরা এখন আকাশেই উড়ছে। কিন্তু ইউক্রেন দলের ইরেমচুক,
ইয়ারমোলেনকো, জিনচেনকোদের মত ফুটবলাররা প্রচন্ড লড়াকু। ম্যানেজারকে তাঁরা কথা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে জীবন বাজি রেখে লড়াই করবেন।