পিএসজি: ০
Photo Courtesy: UEFA Champions League/Twitter
#লিসবন: বার্সেলোনা ম্যাচের মতো হয়তো গোলের বন্যা দেখা যায়নি ৷ কিন্তু রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে শেষ হাসিটা হাসল সেই জার্মান জায়ান্টরাই ৷ পিএসজি-কে ১-০ গোলে হারিয়ে ষষ্ঠবার ইউরোপ সেরার ট্রফি ঘরে তুলল বায়ার্ন মিউনিখ ৷
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের একমাত্র গোলটি এল ৫৯ মিনিটে কিংসলে কোমানের পা থেকে ৷ যিনি পিএসজি অ্যাকাডেমিরই ফুটবলার। ৫৯ মিনিটে পিএসজির লেফট ব্যাকের জায়গা থেকে নিখুঁত লম্বা বল বক্সে কোমানের উদ্দেশে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন বায়ার্নের জোশুয়া খিমিচ। পিএসজি রক্ষণে অরক্ষিত থাকা কোমান অবলীলায় সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে তা জড়িয়ে দেন পিএসজি-র জালে। এরপর গোল শোধ করার কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি নেইমাররা ৷
advertisement
বায়ার্ন মিউনিখ নিঃসন্দেহে এদিন ফেভারিট হলেও প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা পিএসজি-র কাছে অঘটন ঘটানোর একটা আশা করেছিলেন অনেকেই ৷ লড়াইটা এদিন মূলত ছিল নেইমার বনাম লেওয়ানডস্কির মধ্যে ৷ যদিও খেলা শেষে চোখের জল নিয়েই মাঠ ছাড়লেন নেইমার-এমব্যাপেরা ৷
প্রথমার্ধেই বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে পিএসজি ৷ দ্বিতীয়ার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর গোলশোধের মরিয়া লড়াই চালাতে থাকেন নেইমাররা ৷ ৬৬ মিনিটে আরও একটি ভাল সুযোগ নষ্ট করেন এমব্যাপে। দি মারিয়ার বাড়ানো বলটায় পা লাগাতে পারলেই গোলটা হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তা আটকে দিতে সফল বায়ার্ন গোলরক্ষক ন্যুয়ার ৷
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে লেওয়ানডস্কি পিএসজির বক্সে পড়ে গেলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। পাল্টা আক্রমণে বরং গোল শোধের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। বক্সের মধ্যে দারুণভাবে বলটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন নেইমার ৷ রক্ষণের চাপের মধ্যেও কোনওমতে বাঁকানো শট নেন। কিন্তু বল একটুর জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে সেটাই ছিল পিএসজির শেষ সুযোগ।