তবে গা ঘামানোর সময় গোলরক্ষকদের চোখে সানগ্লাস কি কেউ দেখেছেন ? অধিকাংশ ব্যক্তি সম্ভবত দেখেননি। চলতি ইউরো কাপে প্রস্তুতি পর্বে সুইজারল্যান্ডের দুর্গপ্রহরীরা রোদচশমা পরেই শূন্যে শরীর ছুঁড়ছেন। জাতীয় দলের গোলরক্ষক কোচ প্যাট্রিক ফোলেত্তির পরামর্শেই এই আয়োজন। জাপানি সংস্থা ভিশনআপের তৈরি এই সানগ্লাস পরলে গোলরক্ষকদের রিফ্লেক্স বাড়ে। অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য যা চোখে দিয়ে অনুশীলন করলে, আট সপ্তাহের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে বলেই দাবি এই সংস্থার।
advertisement
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষকদের পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাথলিটরা এই বিশেষ সানগ্লাস ব্যবহার করে থাকেন। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চেক প্রজাতন্ত্রের সোনা জয়ী শ্যুটার ডেভিড কোস্টেলেকি, জাপানের মহিলা টেনিস খেলোয়াড় উকিনা সাইগো প্রমুখ। জানা গিয়েছে, একটি সানগ্লাসের মূল্য প্রায় ৩৫৭ ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৩১ হাজার টাকা)। গোলরক্ষকদের ক্ষেত্রে ‘হ্যান্ড-আই কম্বিনেশন অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন কোচ অনুশীলনে নানা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্গপ্রহরীদের নিখুঁত করে তোলার চেষ্টায় থাকেন।
তবে সুইস গোলরক্ষকদের এই সানগ্লাস ব্যবহার অনেককেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে অনুশীলনে যা ব্যবহার করেন ইয়ান সোমের-ইভন ভোগোরা। চলতি ইউরো কাপেও যে অভ্যাসে বদল ঘটেনি। আগামী সোমবার প্রি কোয়ার্টার-ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ড। তার আগে অনুশীলনে গোলরক্ষকদের এই সানগ্লাস পরে ট্রেনিং করালেন প্যাট্রিক ফোলেত্তি। তবে মাঠে নেমে গোলপোস্টের তলায় দাঁড়িয়ে বিপক্ষ ফুটবলারদের প্রচেষ্টা কতটা সামাল দিতে পারেন সুইস গোলরক্ষকরা তার উত্তর পাওয়া যাবে আর এক দিনের ভিতরেই।