প্রথমার্ধের ঝাঁঝ উধাও দ্বিতীয়ার্ধের বাগানে। মাঝমাঠে ওয়াটসন, নিখিলদের মধ্যে দলমার হাতি গলে যাওয়ার দুরত্ব। আর এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াল আইএসএল রানার্সরা। দশজনে বরাবরই ভাল খেলার সুনাম রয়েছে বেঙ্গালুরুর। মঙ্গলের কলিঙ্গও ব্যতিক্রম হল না। মিকুর হ্যাটট্রিকের পাশে এদিন দুরন্ত গোল করেন সুনীল ছেত্রী। অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান কমান ডিকা। স্কোরলাইন শেষপর্যন্ত বেঙ্গালুরু ৪ মোহনবাগান ২।
advertisement
An excellent hat-trick from Miku and a stunning strike from @chetrisunil11 took 10-man @bengalurufc past @Mohun_Bagan to the #HeroSuperCup final!#MBvBFC highlights here. pic.twitter.com/tcOqHGpYeR
— Indian Super League (@IndSuperLeague) April 17, 2018
এদিকে ফাইনালে ওঠার পর ভুবনেশ্বরের গরম থেকে বাঁচতে মঙ্গলবার সকালটা সুইমিং পুলেই কাটালেন আমনা, কাটসুমিরা। ডুডুর চোটের অবস্থাও তুলনায় ভাল। শুক্রবার সুপার ফাইনালে ডুডুকে রেখেই দল সাজাচ্ছেন কোচ খালিদ। ডুডুর ক্ষোভ কমাতে মঙ্গলবার নাইজিরিয় স্ট্রাইকারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন খালিদ জামিল।
ভুবনেশ্বরের রাস্তায় ? না কি ইস্টবেঙ্গলের টিম হোটেলে ? গরম বেশি কোথায় ? সেন্টিগ্রেড, ফারেনহাইটের মাপকাঠি ছাড়িয়েছে সুভাষ-খালিদ সম্পর্ক। গোয়া ম্যাচের ডাগ-আউটে ঝামেলার সূত্রপাত। ডুডুকে তুলে নেওয়ার জন্য সুভাষের জোরাজুরি খালিদ উড়িয়ে দিলে মেজাজ হারান লাল-হলুদ টিডি। ডাগ-আউটে বসেই খালিদকে গালিগালাজও করেন।
গোলকিপার কোচ সিদ্দিকিকে খালিদের চামচে বলে টিপ্পনি কাটেন। কোচের পাশাপাশি ডাগ আউট থেকে ফুটবলারদের অন্যরকম নির্দেশ দিতে থাকেন সুভাষ। ড্রেসিংরুমে ফিরে কাটসুমি-আমনা এই নিয়ে সোচ্চার হন সুভাষের বিরুদ্ধে। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল টিডি সাংবাদিকদের সামনে খালিদের নামে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। আর তাতেই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে মিঞার। কলকাতা ফিরে ক্লাবকর্তাদের কাছে একক দায়িত্ব চান খালিদ। সুভাষের ব্যবহারে কাটসুমি, আমনারাও এবার খালিদের দিকে ঝুঁকেছেন।