( পেড্রি - আত্মঘাতী, অর্সিচ,
প্যাসালিচ)
স্পেন - ৫
( সারাবিয়া, আজপিলিকুটা, ফেরান, মোরাতা, মিকেল )
#কোপেনহেগেন: শেষ ম্যাচে স্লোভাকিয়াকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে আজ স্পেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামবে জানা ছিল। তার ওপর বিপক্ষ দলের এক নম্বর ডিফেন্ডার লভরেন এবং উইঙ্গার পেরিসিচ্ ছিলেন না। কিছুটা শক্তি হারিয়ে ক্রোয়েশিয়া নেমেছিল স্প্যানিশ আর্মাডার বিপক্ষে। প্রথম থেকেই দাপট ছিল স্পেনের। কিন্তু গতির বিরুদ্ধে ২০ মিনিটে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। পেড্রি ব্যাক পাস করলে স্পানিশ গোলরক্ষক উনাই রিসিভ করতে গিয়ে নিজের গোলেই বল ঢুকিয়ে দেন। হাস্যকর ভঙ্গিতে গোল হজম করে স্পেন।
advertisement
কিন্তু বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি স্পেনকে। ৩৮ মিনিটে জাল কাঁপিয়ে দেন সারাবিয়া। বিরতির ১০ মিনিট পর ফের লিড নেয় স্পেন। ফেরান তোরেস বাঁদিক থেকে দুর্দান্ত ক্রস করলে হেডে গোল করেন আজপিলিকুটা। এখানেই থামেনি স্পেন। ৭৬ মিনিটে ফের একটা দুর্দান্ত ডায়াগোনাল পাস ধরে ৩-১ করে দেন ফেরান তোরেস। ফুটবল পণ্ডিতরা তখন স্পেনের দুর্দান্ত কামব্যাকের স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলেছেন। কিন্তু নাটকের বাকি ছিল তখনও!
ফুটবলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই ছাড়তে নেই প্রমাণ করল মদ্রিচ, ব্রজভিচরা। ৮৫ মিনিটে পরিবর্ত ফুটবলার অর্সিচ এবং অতিরিক্ত সময় অন্য পরিবর্ত ফুটবলার প্যাসালিচ হেডে গোল করে দুর্দান্ত কামব্যাক ঘটান ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে। নাটকে ভরা ম্যাচ ক্রমশ আরও নাটকীয় হয়ে ওঠে। চলতি টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিটে ক্রমারিচ দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন। স্পেনের গোলরক্ষক বাঁচিয়ে দেন।
টেনশন যখন বাড়ছে তখন ১০০ মিনিটের মাথায় এই ইউরো কাপের নিজের প্রথম গোল পেলেন আলভারো মোরাতা। ডানদিক থেকে ভেসে আসা বল দানপায়ে রিসিভ করে, বাপায় টপ নেট ফিনিশ করেন তিনি। প্রবল সমালোচনার জবাব দিলেন বোধহয়! মিনিট তিনেক পর ৫-৩ করে দেন স্পেনের মিকেল। দুটো গোলের ক্ষেত্রেই ড্যানি অলমো অ্যাসিস্ট করেন।বাকি সময়টা ক্রোয়েশিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল বটে। কিন্তু স্প্যানিশদের বল ধরে রাখার ক্ষমতা পার্থক্য করে দিল।