স্ট্রাইকারের নাম আলভারো মোরাতা। পারফর্ম যেমনই করুন না কেন, গত ১০ বছরে মোরাতার মতো নিয়মিত একের পর এক শীর্ষ লিগের বড় ক্লাবে খেলে গেছেন, এমন স্ট্রাইকার পাওয়া যাবে খুব কম। রিয়াল মাদ্রিদ, আতলেতিকো মাদ্রিদ, চেলসি, জুভেন্টাস—বিভিন্ন সময়ে মোরাতার ওপর আগ্রহী অনেকেই। কিন্তু স্প্যানিশ স্ট্রাইকার কী তাঁর ওপর এই প্রত্যাশার চাপ ঠিকঠাক মেটাতে পেরেছেন ? আর যাঁকে জিজ্ঞেস করা হবে তিনি যদি স্পেনের ভক্ত হন, তাহলে রক্ষে নেই!
advertisement
যে দলে কয়েক বছর আগেও দাভিদ ভিয়া, ফার্নান্দো তোরেসের মতো স্ট্রাইকাররা খেলতেন, সে দলে আলভারো মোরাতার মতো একজন স্ট্রাইকারের খেলা অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। যেখানে গোল করার জন্য ভিয়া বা তোরেসের ছোট্ট একটা সুযোগ পেলেই হতো, সেখানে মোরাতা একের পর এক সহজ সুযোগ নষ্ট করে চলেছেন। এবারের ইউরোতে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে গোলের খাতা খুললেও, তিন ম্যাচ জুড়ে যেসব মিস করেছেন, তাতে তাঁর মতো একজন স্ট্রাইকারের নিয়মিত শিরোপাপ্রত্যাশী দলে খেলা কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
সহজ সুযোগ নষ্ট করছেন, পেনাল্টি মিস করছেন, পেনাল্টি আটকে গেলে ফিরতি বলকেও কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পাঠাতে পারছেন না—ফলে অধৈর্য হয়ে পড়েছেন স্পেন ভক্তরা। অধৈর্যের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে মোরাতাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন অনেকেই। এল পার্তিদাজো দে কোপ অনুষ্ঠানে এই ২৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার জানিয়েছেন, পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর একের পর এক হত্যার হুমকি পাচ্ছেন তিনি, ‘ম্যাচের পর আমি নয় ঘণ্টা ধরে ঘুমাতে পারিনি। আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমার পরিবারকে নিয়ে বাজে কথা বলা হচ্ছে, অভিশাপ দেওয়া হচ্ছে আমার সন্তান যেন মারা যায়। স্ত্রীকে ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে '।
তবে দলের প্রধান স্ট্রাইকারের এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন ম্যানেজার লুইস এনরিকে। স্পষ্ট বলেছেন স্ট্রাইকারদের গোল খরা স্বাভাবিক ব্যাপার। বেঞ্জেমা, লেওয়ান্ডোস্কির মত স্ট্রাইকারদের খারাপ সময় যাচ্ছিল। আবার তাঁরা গোল পেয়েছেন। তিনি নিশ্চিত মোরাতা একটি গোল পেলেই নিজের ছন্দে ফিরে আসবেন।