কিন্তু হাল ছাড়েনি স্পেন। নিজেদের ওপর বিশ্বাস হারায়নি লা রোজা। কোচ এনরিকে প্রতিদিন মোটিভেট করে গিয়েছিলেন ফুটবলারদের। স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে ৫-০ জিতে কামব্যাক করেছিল স্পেন। সেদিনই বোঝা গিয়েছিল এবার চেনা ছন্দে দেখা যাবে এনরিকের দলকে। সোমবার ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠিন লড়াই শেষে স্প্যানিশরা বাজিমাত করেছে। জয় এসেছে ৫-৩ ব্যবধানে।
প্রথমে পিছিয়ে পড়ে কামব্যাক, তারপর এগিয়ে যাওয়া, ফের ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্নের কামব্যাক। সবশেষে অতিরিক্ত সময়ে আলভারও মোরাতা এবং মিকেলের অনবদ্য গোল। ম্যাচ তো নয়, যেন টানটান থ্রিলার! পেন্ডুলামের মত দোলা ম্যাচের ভাগ্য অবশেষে পকেটে পুরেছে স্প্যানিশরা। ম্যাচ শেষে লুইস এনরিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন ফুটবলারদের। এমনকি আত্মঘাতী গোল খাওয়ানো গোলরক্ষক উনাই সিমোনের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
advertisement
স্প্যানিশ ম্যানেজার যা বলেছেন তার সারমর্ম করলে দাড়ায় ম্যাচটা কঠিন হবে জানতেন। কিন্তু এই পর্যায়ে লড়াই হবে আশা করেননি। গোলরক্ষক যেমন আত্মঘাতী গোল খেয়েছেন, তেমনই নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে স্প্যানিশ আর্মাডাকে ম্যাচে রাখতেও সাহায্য করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা ৩-১ এগিয়ে থাকার সময় ক্রোয়েশিয়া যেভাবে লড়াই করে ৩-৩ করে ফেলেছিল, তাতে মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলার কথা ছিল স্পেনের। কিন্তু কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আলভারো মোরাতা এবং মিকেল চতুর্থ এবং পঞ্চম গোল করে শেষ আটের ছাড়পত্র নিশ্চিত করেন।
বিশেষ করে তিনি মোরাতার জন্য খুশি। গোল মিস করে যেভাবে গালাগাল খাচ্ছিলেন, এমনকি পরিবারের প্রাণ সংশয় এর হুমকি সহ্য করতে হয়েছিল, সেখান থেকে ছবির মত গোল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন রিয়েল মাদ্রিদ তারকা। এনরিকে মনে করেন ক্রোয়েশিয়া লড়াকু দল। কিন্তু নিজের ছেলেরা এমন মানসিকতা দেখাবেন আশা করেননি তিনি।
শেষ আটে খেলতে হবে সুইজারল্যান্ডকে। মাঝে দুটো দিন সময়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে যেভাবে ছিটকে দিয়েছে সুইসরা তাতে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে মনে করেন এনরিকে। আলভারো মোরাতা যখন একবার গোল পেতে শুরু করেছেন তখন স্পেনের গোল পাওয়া নিয়ে আর সমস্যা হবে না মনে করেন কোচ। ছন্দহীন স্প্যানিশ গিটারে হঠাৎ করেই সুরের মূর্ছনা শোনা যাচ্ছে।