প্রস্তুতি ম্যাচে ভাল খেলে দল কাঙ্ক্ষিত গতি পেয়েছে। প্রথম ম্যাচে জিতলে শুরুটা ভালো হবে। লাল-হলুদ কোচের স্বস্তি, দলে কোনও চোট-আঘাত নেই। অন্যদিকে, জামশেদপুরের ফরোয়ার্ড ফারুখ চৌধুরি চোটের কারণে খেলতে পারবেন না। এসসি ইস্টবেঙ্গল গোলের জন্য তাকিয়ে রয়েছে স্লোভেনিয়ান মিডফিল্ডার আমির ডারভিসেভিচ ও নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল চিমার দিকের। আচমকাই প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারকে ঘিরে।
advertisement
গতবার তাঁরই দেশের ব্রাইট এনোবাখারে হয়ে উঠেছিলেন দলের অন্যতম ভরসা। আট ও নয়ের দশকে ভারতীয় ফুটবলে ঝড় তুলেছিলেন চিমা ওকেরি। সেই বড় নামের ভার নিয়ে মাঠে নামতে চলেছেন ‘ছোট চিমা’। আপফ্রন্টে তাঁর সঙ্গী ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড আন্তোনিও পেরোসেভিচ। জামশেদপুর এফসি’র আপফ্রন্টে বড় ভরসা নেরিজাস ভালকিস। এর আগে তিনি ২০১৯-২০ মরশুমে চেন্নাইয়ান এফসি’র হয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। জিতেছেন গোল্ডেন বুট।
লাল-হলুদ রক্ষণে দক্ষ লিডারের অভাব রয়েছে। তবে গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য নির্ভরতা দিতে তৈরি। জামশেদপুরে রেহনেশ, প্রণয় হালদার, লেন, ঈশান পান্ডিতা, পিটার হার্টলের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার রয়েছেন। দুই কোচেরই পছন্দ ৪-৪-২ ফর্মেশন। প্রস্তুতি পর্বে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আশাবাদী এসসি ইস্ট বেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। ম্যানুয়েল ডিয়াজের দল হারিয়েছে ভাস্কো, সালগাওকর ও গোকুলাম এফসি’কে। গতবারের হতাশা ভুলে চলতি আইএএসএলে ভালে ফলের লক্ষ্যে দলের খোলনলচে বদলে ফেলা হয়েছে।
গোলরক্ষক শঙ্কর রায়, ডিফেন্ডার রাজু গায়কোয়াড়, অঙ্কিত মুখার্জি, মিডফিল্ডার সৌরভ দাস, মহম্মদ রফিক ছাড়া বাকিরা সবাই নতুন। প্রথম ম্যাচে জয় পেলে ডার্বিতে বাড়তি মনোবল নিয়ে মাঠে নামবেন ড্যানিয়েল চিমারা। শেষ কয়েক দিন ধরে অনুশীলনে সেট পিস মুভমেন্টের ওপর জোর দিতে দেখা গিয়েছে লাল-হলুদ কোচকে। তিনি জানিয়েছেন তার দল একাধিক ফরমেশনে খেলতে প্রস্তুত। সমর্থকদের প্রত্যাশা সম্পর্কে তিনি অবগত। এখন দেখার প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারে কিনা ইস্টবেঙ্গল।